পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেঁজুতি দাও-ন ছেড়ে ওকে স্নিগ্ধ-আলো খামল-ছায়া বিরল-কথার লোকে, বেড়াবিহীন বিরাট ধূলি-’পর, সেই যেখানে মহাশিশুর আদিম খেলাঘর । ভোরবেলাকার পাখির ডাকে প্রথম খেয়া এসে ঠেকল যখন সব-প্রথমের চেনাশোনার দেশে, নামল ঘাটে যখন তারে সাজ রাখে নি ঢেকে, ছুটির অালো নগ্ন গায়ে লাগল আকাশ থেকে— যেমন করে লাগে তরীর পালে, যেমন লাগে অশোক গাছের কচি পাতার ডালে । নাম ভোলা ফুল ফুটল ঘাসে ঘাসে সেই প্রভাতের সহজ অবকাশে । ছুটির যজ্ঞে পুষ্পহোমে জাগল বকুলশাখা, ছুটির শূন্তে ফাগুনবেলা মেলল সোনার পাখা । ছুটির কোণে গোপনে তার নাম আচমকা সেই পেয়েছিল মিষ্টিস্বরের দাম ; কানে কানে সে নাম ডাকার ব্যথা উদাস করে চৈত্রদিনের স্তব্ধ দুইপ্রহরে। আজ সবুজ এই বনের পাতায় আলোর ঝিকিমিকি সেই নিমেষের তারিখ দিল লিখি । তাহারে ডাক দিয়েছিল পদ্মানদীর ধারা, কঁপিন-লাগা বেণুর শিরে দেখেছে শুকতারা ; কাজল-কালো মেঘের পুঞ্জ সজল সমীরণে নীল ছায়াটি বিছিয়েছিল তটের বনে বনে ; ও দেখেছে গ্রামের বাকা বাটে কাখে কলস মুখর মেয়ে চলে স্বানের ঘাটে ; Ở VÒ