পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে জোড়হাত করে : হে মহাজ্যোতি, হে চিরপ্রকাশ, হে রূপের কল্পনিঝর, স্থূল মাটির কাছে ঘটিয়ে না তোমার সত্যের অপলাপ তোমার স্মৃষ্টির অপমান । তোমার রূপকে লুপ্ত করে সে কোন অধিকারে। আমাকে র্কাদণয় কার অভিশাপে । মন বসল তপস্যায় । কেটে গেল হাজার বছর, লক্ষ বছর— প্রাণের কায় থামে না। পথে পথে বাটপাড়ি, রূপ চুরি যায় নিমেষে নিমেষে। সমস্ত জীবলোক থেকে প্রার্থনা ওঠে দিনরাত ; হে রূপকার, হে রূপরসিক, যে দান করেছ নিজহাতে জড় দানব তাকে কেড়ে নিয়ে যায় যে । ফিরিয়ে আনো তোমার আপন ধন । যুগের পর যুগ গেল, নেমে এল আকাশবাণী : মাটির জিনিস ফিরে যায় মাটিতে, প্যানের রূপ রয়ে যায় আমার ধ্যানে । বর দিলেম, হার রূপ ধরা দেবে, কায়ামুক্ত ছায় আসবে আলোর বাহু ধরে তোমার দৃষ্টির উৎসবে । রূপ এল ফিরে দেহহীন ছবিতে, উঠল শঙ্খধ্বনি । ছুটে এল চারি দিক থেকে রূপের প্রেমিক। আবার দিন যায়, বংসর যায়। প্রাণের কান্না থামে না। আরো কী চাই । প্রাণ জোড়হাত করে বলে, মাটির দূত আসে, নির্মম হাতে কণ্ঠযন্ত্রে কুলুপ লাগায়— বলে “কণ্ঠনালী আমার । ৯৯