পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

업o o রবীন্দ্র-রচনাবলী তোমার অশোকে কিংশুকে অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে, তোমার ঝাউয়ের দোলে মর্মরিয়া ওঠে আমার দুঃখরাতের গান। পূর্ণিমাসন্ধ্যায় তোমার রজনীগন্ধায় রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায় । তোমার প্রজাপতির পাখা আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধচোখের রঙিন স্বপন -মাথা— তোমার চাদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখমুখের সকল অবসান ॥ ভরে দাও, একেবারে ভরে দাও গো, প্যালা ভর ভর লায়ী রে’। পূর্ণের উৎসবে দেওয়া আর পাওয়া, একেবারে একই কথা। ঝর্নার এক প্রান্তে কেবলই পাওয়া অভ্রভেদী শিখরের দিক থেকে, আর-এক প্রাস্তে কেবলই দেওয়া অতলম্পর্শ সমুদ্রের দিকপানে। এই ধারার মাঝখানে শেষে বিচ্ছেদ নেই। অন্তহীন পাওয়া আর অন্তহীন দেওয়ার নিরবচ্ছিন্ন আবর্তন এই বিশ্ব । আমাদের গানেও সেই আবৃত্তি, কেননা, গান তো আমরা শুধু কেবল গাই নে, গান-যে আমরা দিই, তাই গান আমরা পাই। গানের ডালি ভরে দে গে৷ উষার কোলে— অীয় গো তোরা, আয় গো তোরা, আয় গো চলে । চাপার কলি চাপার গাছে সুরের আশায় চেয়ে আছে, কান পেতেছে নতুন পাতা গাইবি বলে। কমলবরন গগনমাঝে কমলচরণ ওই বিরাজে। ওইখানে তোর স্বর ভেসে যাক, নবীন প্রাণের ওই দেশে যাক, ওই যেখানে সোনার আলোর দুয়ার খোলে ৷