পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७० রবীক্স-রচনাবলী छि वह প্রথম দৃশ্য নিমাইয়ের ঘর নিমাই লিখিতে প্রবৃত্ত নিমাই । মুখে এত কথা অনর্গল বকে যাই কিছু বাধে না, সেইগুলোই চোদট অক্ষরে ভাগ করা যে এত মুশকিল তা জানতুম না। কাদম্বিনী যেমনি আমায় প্রথম দেখিলে, কেমন করে ভূত্য বলে তখনি চিনিলে ! ভাবটা বেশ নতুন রকমের হয়েছে কিন্তু কিছুতেই এই হতভাগা ছন্দ বাগাতে পারছিনে। ( গণনা করিয়া ) প্রথম লাইনটা হয়েছে ষোলো, দ্বিতীয়টা হয়ে গেছে পনেরো । ওর মধ্যে একটা অক্ষরও তো বাদ দেবার জো দেখছিনে । [ চিন্তা “আমায়” কে “আমা” বললে কেমন শোনায় ?— ‘কাদম্বিনী যেমনি আমা প্রথম দেখিলে’— আমার কানে তো খারাপ ঠেকছে না । কিন্তু তবু একটা অক্ষর বেশি থাকে। কাদম্বিনীর “নী”টা কেটে যদি সংক্ষেপ করে দেওয়া যায় । পুরো নামের চেয়ে সে তো আরো আদরের শুনতে হবে । “কাদম্বি”— না— কই তেমন আদরের ८ञांनां८ष्कृ न ८डी । “कलञ्च”- ठेिक इ८ब्रटछ् – ^, দম্ব যেমনি আমা প্রথম দেখিলে কেমন ক’রে ভূত্য বলে তখনি চিনিলে ! উহু, ও হচ্ছে না। দ্বিতীয় লাইনটাকে কাবু করি কী করে ? “কেমন করে” । কথাটাকে তো কমাবার জো নেই— এক “কেমন করিয়া” হয়— কিন্তু তাতে আরো একটা অক্ষর বেড়ে যায় । “তখনি চিনিলে’র জায়গায় “তৎক্ষণাৎ চিনিলে* বসিয়ে দিতে পারি কিন্তু তাতে বড়ো স্ববিধে হয় না, এক দমে কতকগুলো অক্ষর বেড়ে যায়। ভাষাটা আমাদের বহু পূর্বে তৈরি হয়ে গেছে কিছুই নিজে বানাবার জো নেই– অথচ ওরই মধ্যে আবার কবিতা লিখতে হবে । দূর হোকগে, ও পনেরো অক্ষরই থাকৃ— কানে খারাপ না লাগলেই হল । ও পনেরোও যা যোলোও তা সতেরোও তাই, কানে সমানই ঠেকে, কেবল পড়বার দোষেই খারাপ শুনতে হয় । চোদ্দ অক্ষর, ও একটা প্রেজুডিস ।