পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী ক্ষণ-অশ্র ক্ষণ-হাসি পড়িতেছে রাশি রাশি, শব্দ তার শুনি অবিরত । সেই সব হেলাফেলা, নিমেষের লীলাখেলা চারিদিকে করি স্তুপাকার, তাই দিয়ে করি স্বষ্টি একটি বিস্মৃতিবৃষ্টি জীবনের শ্রাবণনিশার । ८भरु s१ 8छIई, २२२२ শাস্তিনিকেতন আরম্ভ বহুদিনের হিং টিং ছটু স্বপ্লমঙ্গল স্বপ্ন দেখেছেন রাত্রে হবুচন্দ্র ভূপ,— অর্থ তার ভাবি ভাবি গৰুচন্দ্র চুপ । শিয়রে বসিয়া যেন তিনটে বাদরে উকুন বাছিতেছিল পরম আদরে। একটু নড়িতে গেলে গালে মারে চড়, চোখে মুখে লাগে তার নখের আঁচড়। সহসা মিলাল তারা, এল এক বেদে, “পাখি উড়ে গেছে” ব’লে মরে কেঁদে কেঁদে ; সম্মুখে রাজারে দেখি তুলে নিল ঘাড়ে, ঝুলায়ে বসায়ে দিল উচ্চ এক দাড়ে । নিচেতে দাড়ায়ে এক বুড়ি খুড়খুড়ি হাসিয়া পায়ের তলে দেয় সুড়সুড়ি । রাজা বলে, “কী আপদ।” কেহ নাহি ছাড়ে, পা দুটা তুলিতে চাহে, তুলিতে না পারে। পাখির মতন রাজা করে ছটফট,— বেদে কানে কানে বলে—“হিং টিং ছট্‌ ৷” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান । צס\