পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী আর বেশি কাজ নেই, গেছে কেটে তিনকাল, যে কালে এসেছি আজ সে কালটা সিনিক’ল ! কিছু আছে যার লাগি সুগভীর নিশ্বাস জেগে ওঠে— ঢাকা থাক তার প্রতি বিশ্বাস । একটু সৰুর করে, আরো কিছু বলে যাই, কথার চরম পারে তারপরে চলে যাই । যে গিয়েছে তার লাগি খুচিয়ে না চেতনা, ছায়ারে অতিথি ক’রে আসনট পেতো না । বংসরে বৎসরে শোক করা রীতিটার মিথ্যার ধাক্কায় ভিত ভাঙে স্মৃতিটার । ভিড় ক’রে ঘট-করা ধরা-বাধা বিলাপে পাছে কোনো অপরাধ ঘটে প্রথা-খিলাপে, ভারতে ছিল না লেশ এই সব থেয়ালের— কবি-’পরে ভার ছিল নিজ মেমোরিয়ালের । “ভুলিব না, ভুলিব না" এই ব’লে চীৎকার বিধি না শোনেন কহু, বলে তাহে হিত কার । ধে ভোলা সহজ ভোলা নিজের অলক্ষ্যে সে-ই ভালে হৃদয়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে । শুদ্ধ উৎস খুজে মরুমাটি খোড়াটা, তেলহীন দীপ লাগি দেশালাই পোড়াটা, ঘে-মোয কোথাও নেই সেই মোষ তাড়ানে, কাজে লাগিবে না যাহা সেই কাজ বাড়ানো— শক্তির বাজে ব্যয় এরে কয় জেনো হে, উৎসাহ দেখাবার সদুপায় এ নহে । মনে জেনো জীবনট মরণেরই যজ্ঞ— স্থায়ী যাহা, আর যাহা থাকার অযোগ্য, সকলি আহুতিরূপে পড়ে তারি শিখাতে, টিকে না যা কথা দিয়ে কে পরিবে টি-কাতে 이는