পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ রবীন্দ্র-রচনাবলী মুহূর্তে আঁধার নামি দিবে সব ঢাকি বিদায়ের পথ, তোমার অজ্ঞাত দেশে আমি চলে যাব ; তুমি ফিরে যেয়ে হেসে ংসারের খেলাঘরে তোমার নবীন দিবালোকে । অবশেষে যবে এক দিন— বহু দিন পরে—তোমার জগৎমাঝে সন্ধ্যা দেখা দিবে, দীর্ঘ জীবনের কাজে প্রমোদের কোলাহলে শ্রাস্ত হবে প্রাণ, মিলায়ে আসিবে ধীরে স্বপন সমান চিররৌদ্রদগ্ধ এই কঠিন সংসার, সেই দিন এইখানে আসিয়ো আবার ; এই তটগ্রাস্তে বসে প্রাস্ত দু-নয়ানে চেয়ে দেখো ওই অস্ত-অচলের পানে সন্ধ্যার তিমিরে,—যেথা সাগরের কোলে আকাশ মিশায়ে গেছে । দেখিবে তা-হলে আমার সে বিদায়ের শেয-চেয়ে-দেখা এইখানে রেখে গেছে জ্যোতির্ময় রেখা । সে অমর অশ্রুবিন্দু সন্ধ্যাতারকার বিষন্ন আকার ধরি উদিবে তোমার নিদ্রাতুর আঁথি ’পরে ;–সারা রাত্রি ধরে তোমার সে জনহীন বিশ্রাম-শিয়রে একাকী জাগিয়া রবে । হয়তো স্বপনে ধীরে ধীরে এনে দেবে তোমার স্মরণে জীবনের প্রভাতের দু-একটি কথা । এক ধারে সাগরের চিরচঞ্চলত তুলিবে অস্ফুট ধ্বনি, রহস্ত অপার, অন্ত ধারে ঘুমাইবে সমস্ত সংসার । কোলডিল টেরেস, লণ্ডন আশ্বিন, ১৮৯০ । রান্ত্রি