পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী দর্পণ দর্পণ লইয়া তারে কী প্রশ্ন শুধাও একমনে হে সুন্দরী, কী সংশয় জাগে তব উদ্বিগ্ন নয়নে। নিজেরে দেখিতে চাও বাহিরে রাখিয়া আপনারে যেন আর কারো চোখে ; আর কারো জীবনের দ্বারে খুজিছ আপন স্থান। প্রেমের অর্ঘ্যের কোনো ক্রটি দেখ কি মুখের কোনোথানে। তাই তব অঁাখিদুটি নিজেরে কি করিছে ভংসনা । সাজায়ে লইয়া সর্বদেহে স্বগের গর্বের ধন, তবে যেতে চাও তার গেহে ? জান না কি হে রমণী, দর্পণে যা দেখিছ তা ছায়া, পার না রচিতে কন্তু তাই দিয়ে চিরস্থায়ী মায়া । তিলোত্তম অনুপমা সুরেন্দ্রের প্রমোদপ্রাঙ্গণে কঙ্কণঝংকারে আর নৃত্যলোল নৃপুরনিকণে নাচিয়া বাহিরে চলে যায়। লয়ে আত্মনিবেদন গৌরবে জিনিলা শচী ইন্দ্রলোকে নন্দন-আসন। ১৫ আশ্বিন ১৩৩৪ ভাবিনী ভাবিছ যে-ভাবনা একা-একা দুয়ারে বসি চুপে চুপে, সে যদি সম্মুখে দিত দেখা মূর্তি ধরি কোনো রূপে— হয়তো দেখিতাম শুকতারা দিবস পার হয়ে দিশহারা এসেছে সন্ধ্যার কিনারাতে সাঝের তারাদের দলে, উদাস স্মৃতিভরা আঁখিপাতে উষার হিমকণা জলে ।