পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88や রবীন্দ্র-রচনাবলী এর বিষয়টি অতি সামান্ত । কিন্তু, ছন্দের দোল খেয়ে এ যেন একটা স্পর্শযোগ্য পদার্থ হয়ে উঠেছে ব্যাকরণের ভুল থাকা সত্ত্বেও । ডালিমগাছে পৰ্বভু নাচে, তাকুধুমাধুম বান্তি বাজে । শুনে শিশু খুশি হয়ে ওঠে। এ একটা স্বম্পষ্ট চলন্ত জিনিস, যেন একটা ছনে-গড়া পতঙ্গ ; সে আছে, সে উড়ছে, আর কিছুই নয়, এতেই কৌতুক । তাই শিশুকাল থেকে মানুষ বলছে ‘গল্প বলো ; সেই গল্পকে বলে রূপকথা। রূপকথাই সে বটে ; তাতে না থাকতে পারে ঐতিহাসিক তথ্য, না থাকতে পারে আবশ্যক ংবাদ, সম্ভবপরতা সম্বন্ধেও ভার হয়তো কোনো কৈফিয়ত নেই। সে কোনে-একটা রূপ দাড় করার মনের সামনে, তার প্রতি ঔখস্থক্য জাগিয়ে তোলে, তাতে শূন্ততা দূর করে ; সে বাস্তব। গল্প শুরু করা গেল— এক ছিল মোটা কেঁদো বাঘ, গায়ে তার কালো কালো দাগ । বেহারাকে খেতে গিয়ে ঘরে আয়নাটা পড়েছে নজরে । এক ছুটে পালালো বেহার, दtघ ८८६ चां*ॉन ८5ट्त्री । গা গা ক’রে রেগে ওঠে ভেকে, গায়ে দাগ কে দিয়েছে একে । ঢে"ঙ্কিশালে মাসি ধান ভানে, বাঘ এসে দাড়ালো সেখানে । পাকিয়ে ভীষণ দুই গোফ বলে, ‘চাই গ্লিসেরিন সোপ ? ছোটো মেয়ে চোখ দুটো মস্ত ক'রে ই ক’রে শোনে। আমি বলি, ‘আজ এই পর্যন্ত ।’ সে অস্থির হয়ে বলে, “না, বলে, তারপরে ’ সে নিশ্চিত জানে, সাবানের চেয়ে, যারা সাবান মাথে বাঘের লোভ তাদেরই পরে বেশি। তৰু এই সম্পূর্ণ আজগবি গল্প তার কাছে সম্পূর্ণ বাস্তব, প্রাণীবৃত্তাস্তের বা তার কাছে কিছুই না। ঐ জায়ন-দেখা খ্যাপী বাঘকে তার সমস্ত মনপ্রাণ একান্ত অনুভব করাতেই লে খুশি হয়ে উঠছে। ७'८कझे बलि बप्नब्र लौणा, किङ्कहे-ना निरञ्च डांब्र ऋ४ि, डांद्र चानक । স্বন্দরকে প্রকাশ করাই রসসাহিত্যের একমাত্র লক্ষ্য নয়, সে কথা পূর্বেই বলেছি।