পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७8 রবীন্দ্র-রচনাবলী অক্ষয় । যে বয়সে তোমাদের কথা বেদবাক্য বলে মানতেন সে বয়স পেরিয়েছে কিনা। তাই লোকটা বিদ্রোহ করতে সাহস করছে । আচ্ছা, আমি ঠিক করে দিচ্ছি। চলো তে রসিকদা, আমার বাইরের ঘরটাতে বসে তামাক নিয়ে পড়া যাক । দ্বিতীয় দৃশ্য বিপিনের বাসা বিপিন ও গুরুদাস তানপুর হন্তে বিপিন অত্যন্ত বেসুরে গলায় সা রে গা মা সাধিতেছেন বিপিন। ভাই গুরুদাস, তুমি তে ওস্তাদ মানুষ, আমার এই উপকারটি তোমার করে দিতেই হবে। এই খাতার সব গানগুলিই তোমাকে স্বর বসিয়ে দিতে হবে। যেটা গাইলে ওটা খাসা হয়েছে। যদি কষ্ট না হয় তো আর একবার— আগে ওই গানের কথা দেখেই মজে গিয়েছিলুম, এখন দেখি কথাটি মানস-সরোবরের পদ্ম, আর তার উপরে গানটি বসেছে যেন বীণাপাণি স্বয়ং । ভাই আর-একবার— গুরুদাস — গান তোমায় চেয়ে আছি বসে পথের ধারে সুন্দর হে । জমল ধুলা প্রাণের বীণার তারে তারে স্বন্দর হে। নাই যে কুসুম, মালা গাথব কিসে। কান্নারই গান বীণায় এনেছি সে, দূর হতে তাই শুনতে পাবে অন্ধকারে স্বন্দর হে। দিনের পরে দিন কেটে যায় সুন্দর হে। মরে হৃদয় কোন পিপাসায় সুন্দর হে । শূন্ত ঘাটে আমি কী যে করি, রঙিন পালে কবে আসবে তী— পাড়ি দেব কবে স্থধারসের পারাবারে সুন্দর হে। ভূত্যের প্রবেশ ভৃত্য। একটি বাবু এসেছেন। { } বিপিন। বাবু ? কিরকম বাবু রে । ভৃত্য । বুড়ো লোকটি। বিপিন । মাথায় টাক আছে ? ভৃত্য । আছে।