পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રન রবীন্দ্র-রচনাবলী শ্ৰীশ । পুর্ণবাবু, ভালো আছেন তো ? পূর্ণ। ই। বিপিন। আপনাকে একটু শুকনো দেখাচ্ছে । পূর্ণ। না, কিছু না । শ্ৰীশ । আপনাদের পরীক্ষার আর তো দেরি নেই। পূর্ণ। না। নৃপবালা ও নীরবালাকে লইয়া অক্ষয়ের প্রবেশ অক্ষয় । ( নৃপবালা ও নীরবালার প্রতি ) ইনি চন্দ্রবাৰু, ইনি তোমাদের গুরুজন, একে প্রণাম করে। ( নৃপ ও নীরর প্রণাম ) চন্দ্রবাবু, নূতন নিয়মে আপনাদের সভায় এই দুটি সভ্য বাড়ল । চন্দ্রবাবু। বড়ো খুশি হলেম । এরা কে । অক্ষয় । আমার সঙ্গে এদের সম্বন্ধ খুব ঘনিষ্ঠ । এরা আমার দুটি শুালী । ীিশবাবু এবং বিপিনবাবুর সঙ্গে এদের সম্বন্ধ শুভলগ্নে আরও ঘনিষ্ঠতর হবে। এদের প্রাত দৃষ্টি করলেই বুঝবেন, রসিকবাবু এই যুবক-দুটির যে মতের পরিবর্তন করিয়েছেন সে কেবলমাত্র বাগিতার দ্বারা নয় । চন্দ্রবাবু। বড়ো আনন্দের কথা । পূর্ণবাবু। শ্ৰীশবাবু, বড়ে খুশী হলুম। বিপিনবাবু, আপনাদের বড়ো সৌভাগ্য । আশা করি অবলাকাস্তবাবুও বঞ্চিত হন নি, তারও একটি— নির্মলার প্রবেশ চন্দ্রবাবু। নির্মলা, শুনে খুশি হবে, শ্ৰীশবাবু এবং বিপিনবাবুর সঙ্গে এদের বিবাহের সম্বন্ধ স্থির হয়ে গেছে । তা হলে কুমারত্ৰত উঠিয়ে দেওয়া সম্বন্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করাই বাহুল্য । নির্মলা। কিন্তু অবলাকাস্তবাবুর মত তো নেওয়া হয় নি— তাকে এখানে দেখছি G{一 চন্দ্রবাবু। ঠিক কথা, আমি সেটা ভুলেই গিয়েছিলুম— তিনি আজ এখনও এলেন না কেন । রসিক। কিছু চিস্ত করবেন না, তার পরিবর্তন দেখলে আপনার আরও আশ্চর্য হবেন ।