পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে \రిఆ3 কিন্তু, মুশকিল হইয়াছে এই যে, কথাটা ব্যবহার করিতে আমাদের আজকাল লজ্জা বোধ হইতেছে । জীবনটা কেবলই লীলা ! এ কথা শুনিলে জগতের সমস্ত পালোয়ানের দলেরা কী বলিবে যাহারা তিন ভুবনে কেবলই তাল ঠুকিয় লড়াই করিয়া বেড়াইতেছে । * আমি কবুল করিতেছি, আমার এখানে লজ্জা নাই। ইহাতে আমার ইংরেজিমাস্টার তার সব-চেয়ে বড়ো শব্দভেদী বাণটা আমাকে মারিতে পারেন— বলিতে পারেন, "ওহে, তুমি নেহাত ওরিয়েন্টাল। কিন্তু, তাহাতে আমি মারা পড়িব না। ‘লীলা' বলিলে সবটাই বলা হইল, আর লড়াই’ বলিলে লেজামুড়া বাদ পড়ে। এ লড়াইয়ের আগাই বা কোথায় আর গোড়াই বা কোথায় । ভাঙখোর বিধাতার ভাঙের প্রসাদ টানিয়া এ কি হঠাৎ আমাদের একটা মত্ততা। কেন রে বাপু, কিসের জন্যে খামকা লড়াই। বাচিবার জন্য । আমার না-হক বাচিবার দরকার কী । না বাচিলে যে মরিবে । নাহয় মরিলাম । মরিতে যে চাও না। . কেন চাই না । চাও না বলিয়াই চাও না । এই জবাবটাকে এক কথায় বলিতে গেলে বলিতে হয়, লীলা । জীবনের মধ্যে বাচিবার একটা অহেতুক ইচ্ছা আছে। সেই ইচ্ছাটাই চরম কথা। সেইটে আছে বলিয়াই আমরা লড়াই করি, দুঃখকে মানিয়া লই । সমস্ত জোর-জবরদস্তির সব শেষে একটা খুশি আছে– তার ওদিকে আর যাইবার জো নাই, দরকারও নাই। শতরঞ্চ খেলার আগাগোড়াই খেলা— মাঝখানে দাবাবড়ে চালাচালি এবং মহাভাবনা । সেই দুঃখ না থাকিলে খেলার কোনো অর্থই থাকে না। অপর পক্ষে খেলার আনন্দ না থাকিলে দুঃখের মতো এমন নিদারুণ নিরর্থকতা আর-কিছু নাই। এমন স্থলে শতরঞ্চকে আমি যদি বলি খেলা আর তুমি যদি বল দাবাবড়ের লড়াই, তবে তুমি আমার চেয়ে কম বই যে বেশি বলিলে এমন কথা আমি মানিব না । কিন্তু, এ-সব কথা বলা কেন । জীবনটা কিম্বা জগৎটা যে লীলা, এ কথা শুনিতে পাইলেই যে মানুষ একদম কাজকর্মে ঢিল দিয়া বসিবে। ७हे क्षाम्ने ८*ांना न-८*ांनान्न ठे°ब्रहे पनि माइtबद्र कॉख क्द्र ना-कब्र निर्डंद्र