পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ রবীন্দ্র-রচনাবলী বসে বসে উৰ্ব্বপানে চেয়ে শুনতেছ কি পরকালের ডাক ? কবি কহে, ‘সন্ধ্য হল বটে, শুনছি বসে লয়ে শ্রান্ত দেহ এ পারে ওই পল্লী হতে যদি আজো হঠাৎ ডাকে তামায় কেহ ! যদি হোথায় বকুলবনচ্ছায়ে মিলন ঘটে তরুণ-তরুণীতে, দুটি আঁখির পরে দুইটি তাথি মিলিতে চায় দুরন্ত সংগীতে— কে তাহদের মনের কথা লয়ে বীণার তারে তুলবে প্রতিধ্বনি, আমি যদি ভবের কুলে বসে পরকালের ভালে মনদই গনি । ‘সন্ধাতার উঠে তাস্তে গেল, চিত নিলে এল নদীর ধারে. কৃষ্ণপক্ষে হলুদ-বৰ্ণ চাদ দেখা দিল বনের একটি পারে, শুগালসভ ডাকে উর্ধ্বরবে পোড়ে বাড়ির শূন্ত আঙিনাতে— এমন কালে কোনো গৃহত্যাগী হেথায় যদি জাগতে আসে রাতে, জোড়-হস্তে উর্ধ্বে তুলি মাথ৷ চেয়ে দেখে সপ্ত ঋষির পানে, প্রাণের কুলে আঘাত করে ধীরে সুপ্তিসাগর শব্দবিহীন গানে--