পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাসের দেশ 曼 ՖԵՖ বেড়াচ্ছে ভূতে-পাওয়ার মতো । সভ্যগণ, তোমাদের আজ চেনা যায় না— সভার সাজ নেই, অত্যন্ত অসভোর মতো । সকলে । দোষ নেই। ঢিলে হয়ে গেল আমাদের সাজ, আপনি পড়ল খসে— সেগুলো রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে আছে । রাজা । সম্পাদক, তোমারও যেন গাম্ভীর্যহানি হয়েছে বলে বোধ হচ্ছে । গোলাম । সকাল থেকে আছি বনে, পলাতকাদের নাম সংগ্রহ করার জন্তে । এখানকার হাওয়া লেগেছে । সম্পাদকীয় স্তম্ভ ভরাতে গিয়ে দেখি, লেখনী দিয়ে ছন্দ ঝরছে। শুনেছি, আধুনিক ডাক্তার এইরকম নিঃসারণকেই বলে ইনফুলুয়েঞ্জা । রাজা। কী রকম, একটা নমুনা দেখি । গোলাম । যে দেশে বায়ু না মানে বাধ্যতামূলক বিধি, সে দেশে দহলা তত্ত্বনিধি কেমনে করিবে রক্ষা কৃষ্টি— সে দেশে নিশ্চিত অনাস্থষ্টি । রাজা। থাক, আর প্রয়োজন নেই। এটা চতুর্থবর্গের পাঠ্য পুস্তকে চালিয়ে দিয়ে । তাসবংশীয় শিশুরা কণ্ঠস্থ করুক। ছক্ক। রাজাসাহেব, তোমার চতুর্থবর্গের শিশুবিভাগের ছাত্র নই আমর। আজ হঠাৎ মনে হচ্ছে, আমাদের বয়স হয়েছে । ও ছন্দ মনে লাগছে না। পঞ্চ। ওগো বিদেশী, সমুদ্রের ওপারের ছন্দ আমাদের কানে দিতে পার ? রাজপুত্র। পারি, তবে শোনো।

  • ोंन

গগনে গগনে যায় হাকি বিদ্যুৎবাণী বজ্রবাহিনী বৈশাখী, স্পধর্ণবেগের ছন্দ জাগায় বনস্পতির শাখাতে । শূন্তমদের নেশায় মাতাল ধায় পাখি, অচিন পথের ছন্দ উড়ায় মুক্ত বেগের পাখাতে।