পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外氨也成 Sలీవె কেবল শুনিয়া শুনিয়াই বয়স বহিয়া যাইবার জো হইল, কোথাও তো কিছু প্রত্যক্ষ দেখিলাম না। এতদিন পরে নিজের দৃষ্টির অহংকার ত্যাগ করিয়া এই শাস্ত্রহীন স্ত্রীলোকের দুই চক্ষুর ভিতর দিয়া সত্যকে দেখিলাম। ভক্তি করিবার ছলে শিক্ষা দিবার এ কী আশ্চর্য প্রণালী । পরদিন সকালে বোষ্টমী অাসিয়া অামাকে প্রণাম করিয়া দেখিল, তখনো আমি লিখিতে প্রবৃত্ত। বিরক্ত হইয়া বলিল, “তোমাকে আমার ঠাকুর এত মিথ্যা খাটাইতেছেন কেন । যখনি আসি দেখিতে পাই, লেখা লইয়াই আছ ।” আমি বলিলাম, “যে লোকটা কোনো কর্মেরষ্ট নয় ঠাকুর তাহাকে বসিয়া থাকিতে দেন না, পাছে সে মাটি হইয়া যায়। যত রকমের বাজে কাজ করিবার ভার তাহারই উপরে ।” আমি যে কত আবরণে আবৃত তাহাই দেখিয়া সে অধৈর্ষ হইয়া উঠে। আমার সঙ্গে দেথা করিতে হইলে অনুমতি লইয়া দো তলায় চড়িতে হয়, প্রণাম করিতে আসিয়া হাতে ঠেকে মোজাজোড়, সহজ দুটো কথা বলা এবং শোনার প্রয়োজন কিন্তু আমার মনটা আছে কোন লেখার মধ্যে তলাষ্টয়া । হাত জোড় করিয়া সে বলিল, “গেীর, আজ ভোরে বিছানায় যেমনি উঠিয়া বসিয়াছি অমনি তোমার চরণ পাইলাম। আহা, সেই তোমার দুখানি পা, কোনো ঢাকা নাই— লে কী ঠাণ্ডা। কী কোমল। কতক্ষণ মাথায় ধরিয়া রাখিলাম। সে তো খুব হইল। তবে আর আমার এখানে আলিবার প্রয়োজন কী। প্রভু, এ আমার মোহ নয় তো ? ঠিক করিয়া বলে ।” লিখিবার টেবিলের উপর ফুলদানিতে পূর্বদিনের ফুল ছিল। মালী আসিয়া সেগুলি তুলিয়া লইয়। নূতন ফুল সাজাইবার উদযোগ করিল। বোষ্টমী যেন ব্যথিত হুষ্টয়া বলিয়া উঠিল, “বাস ? এ ফুলগুলি হইয়া গেল ? তোমার আর দরকার নাই ? তবে দাও দাও, আমাকে দাও।” এই বলিয়া ফুলগুলি অঞ্জলিতে লইয়া, কতক্ষণ মাথা নত করিয়া, একান্ত স্নেহে এক দৃষ্টিতে দেখিতে লাগিল। কিছুক্ষণ পরে মুখ তুলিয়া বলিল, “তুমি চাহিয়া দেখো না বলিয়াই এ ফুল তোমার কাছে মলিন হইয়া যায়। যখন দেখিবে তখন তোমার লেখাপড়া সব ঘুচিয়া যাইবে।” gD DDD B DD BB BB BB BBBB BBBB BB BBB DD DS DDD प्ठंकाईब्र यलिज, *थांशांद्र ?ादूव्रtरु श्राभि लहेम्ना शाहे ।” কেবল ফুলদানিতে রাখিলেই যে ফুলের আদর হয় না, তাহা বুঝিতে আমার