পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ রবীন্দ্র-রচনাবলী নামকরণ একদিন মুখে এল নুতন এ নাম— চৈতালিপূর্ণিমা ব’লে কেন ষে তোমারে ডাকিলাম সে কথা শুধা ও যবে মোরে হেন সাধ্য নাই । রসনায় রসিয়েছে, আর কোনো মালে কী আছে কে জানে । জীবনের যে সীমায় এসেছ গম্ভীর মহিমায় সেথা অপ্ৰমত্ত তুমি, পেরিয়েছ ফাত্তনের ভাঙাভাও উচ্ছিষ্টের ভূমি, পৌছিয়াছ তপঃশুচি নিরাসক্ত বৈশাখের পাশে, এ কথাই বুঝি মনে আসে না ভাবিয়া অtশুপিছু । কিংবা এ ধ্বনির মাঝে অজ্ঞাত কুহক আছে কিছু । হয়তো মুকুল-ঝরা মাসে পরিণতফলনস্ত্র অপ্ৰগলভ যে মর্যাদা আসে আগস্ৰডালে, দেখেছি তোমার ভালে সে পূর্ণতা স্তৰুতামস্থর— তার মৌন-মাঝে বাজে অরণ্যের চরম মর্মর । অবসক্স বসস্তের অবশিষ্ট অঙ্কিম চাপণয় মৌমাছির ডানারে কণপায় নিকুঞ্জের মান যুদ্ধ প্রাণে, সেই ভ্রাণ একদিন পাঠায়েছ প্রাণে, তাই মোর উৎকণ্ঠিত বাণী জাগায়ে দিয়েছে নামখানি ।