পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী \రి(t রাস্তায় সবাই বললে সে ভয়ংকর। সে কেবলমাত্র একটা মুণ্ডু, একটা ই যৌবনের চাদকে গিলে খাবার জন্যেই তার একমাত্র লোভ । কিন্তু ভয় ভেঙে গেছে। মনের ভিতর বলছে সে যদি আমাকে চায় তবে আমিও বসে থাকব না। ফুল যাচ্ছে, পাতা যাচ্ছে, নদীর জল যাচ্ছে - তার পিছন পিছন আমিও যাব । ও ভাই বাউল, তোমার একতারাতে একটা মুর লাগাও । রাত কত হল কে জানে। হয়তো বা ভোর হয়ে এল । বাউলের গান সবাই যারে সব দিতেছে তার কাছে সব দিয়ে ফেলি। কবীর অাগে চাবার অাগে আপনি আমায় দেব মেলি । নেবার বেলা হলেম ঋণী, ভিড় করেছি, ভয় করি নি, এখনো ভয় করব না রে, দেবার খেলা এবার খেলি । প্রভাত তারি সোনা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে নেচে-কুঁদে । সন্ধ্য। তারে প্রণাম করে সব সোনা তার দেয় রে শুধে । ফোটা ফুলের আনন্দ রে ঝরা ফুলেই ফলে ধরে, আপনাকে ভাই ফুরিয়ে দেওয়া চুকিয়ে দে তুই বেলাবেলি । ওহে বাউল, চন্দ্রহাস এখনও এল না কেন । বাউল । সে যে গেছে, তা জানো না ? গেছে f কোথায় গেছে । বাউল। সে বললে, আমি তাকে জয় করে আনব । কাকে । 嗎 বাউল । ষাকে সবাই ভয় করে। সে বললে, নইলে আমার কিসের যৌবন।