পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডালিকা 8లీ মা। ওগো, তুমি মহাপুরুষ, অপরাধ করবার শক্তি আমার স্বত, ক্ষমা করবার শক্তি তোমার তার চেয়ে অনেক বেশি। প্রস্থ, অসম্মান করতে বসেছি, তবু প্ৰণাম গ্রহণ করে । প্রকৃতি । কিসের ভয় তোমার, মা ! মন্ত্র আমিই পড়ছি মায়ের মুখ দিয়ে। আমার বেদন যদি আনে তাকে টেনে, আর তাই যদি হয় অপরাধ, তবে করবই অপরাধ, করবই। যে-বিধানে কেবল শাস্তিই আছে, সাস্বনা নেই, মানব না সে বিধানকে । গান দোষী করো, দোষী করে । ধুলায়-পড়া মান কুস্কম পায়ের তলায় ধরে । অপরাধে-ভরা ডালি নিজ হাতে করো খালি, তারপরে সেই শূন্ত ডালায় তোমার করুণা ভরে । তুমি উচ্চ, আমি তুচ্ছ— ধরব তোমায় ফালে অামার অপরাধে । আমার দোষকে তোমার পুণ্য করবে তো কলঙ্কশূন্ত, ক্ষমায় গেথে সকল ক্রটি গলায় তোমার পরে । মা। আচ্ছা সাহস তোর প্রকৃতি । প্রকৃতি । আমার সাহস ! ভেবে দেখ, তার সাহসের জোর ! কেউ যে-কথা আমার কাছে বলতে পারে নি তিনি সহজেই বললেন, জল দাও। ঐটুকু বাণী, তার তেজ কত— আলো ক’রে দিলে আমার সমস্ত জন্ম ; বুকের উপরে কালো পাথরট চিরকাল চাপ ছিল, দিলে সেটাকে ঠেলে, উছলে উঠল রসের ধারা। মিথ্যে তোর ভয়, তুই ষে তাকে দেখিল নি । সমস্ত সকাল বেলা ভিক্ষা শেষ করলেন শ্রাবস্তীনগরে ; এলেন মাঠ পেরিয়ে শ্মশান পেরিয়ে, নদীর তীর বেয়ে, প্রখর রৌদ্র মাথায় করে । কিসের জন্তে । আমার মতো মেয়েকেও কেবল ঐ একটি কথা বলবার জন্তে— জল