পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७२ রবীন্দ্র-রচনাবলী শৈলবালার প্রবেশ অক্ষয় । এসে এসো— উত্তমাধমমধ্যম এই তিন শু্যালী না হলে আমার— নীরবালা । উত্তমমধ্যম হয় না । শৈলবালা । ( নৃপ ও নীরর প্রতি ) তোরা ভাই, একটু যা তো, আমাদের কথা আছে । অক্ষয় । কথাটা কী বুঝতে পারছিস তো নীরু ? হরিনাম-কথা নয়। নীরবালা । আচ্ছা, তোমার আর বকতে হবে না। [ নৃপ ও নীরর প্রস্থান শৈলবালা। দিদি, ৰূপ-নীরর জন্যে মা দুটি পাত্র তা হলে স্থির করেছেন ? পুরবালা । হা, কথা এক রকম ঠিক হয়ে গেছে । শুনেছি ছেলে দুটি মন্দ নয়—তারা মেয়ে দেখে পছন্দ করলেই পাকাপাকি হয়ে যাবে। শৈলবালা । যদি পছন্দ না করে ? পুরবালা । তা হলে তাদের অদৃষ্ট মন্দ । অক্ষয়। এবং আমার খালী দুটির অদৃষ্ট ভালো। শৈলবালা । নৃপ নীরু যদি পছন্দ না করে ? অক্ষয় । তা হলে ওদের রুচির প্রশংসা করব । পুরবালা। পছন্দ আবার না করবে কী ? তোদের সব বাড়াবাড়ি, স্বয়ম্বরার দিন গেছে । মেয়েদের পছন্দ করবার দরকার হয় না স্বামী হলেই তাকে ভালোবাসতে পারে । অক্ষয়। নইলে তোমার বর্তমান ভগ্নীপতির কী দুর্দশাই হত শৈল ! জগত্তারিণীর প্রবেশ জগত্তারিণী। বাবা অক্ষয়, ছেলে দুটিকে তা হলে তো খবর দিতে হয়। তারা তো আমাদের বাড়ির ঠিকানা জানে না । অক্ষয়। বেশ তে মা, রসিকদাদাকে পাঠিয়ে দেওয়া যাক । জগত্তারিণী। পোড়া কপাল । তোমার রসিকদাদার যেরকম বুদ্ধি। তিনি কাকে আনতে কাকে আনবেন ঠিক নেই। পুরবাল । তা মা, তুমি কিছু ভেবো না । ছেলে দুটিকে আনবার ব্যবস্থা করে দেব । জগত্তারিণী । মা পুরী, তুই একটু মনোযোগ না করলে হবে না। আজকালঙ্কার ছেলে, তাদের সঙ্গে কিরকম ব্যাভার করতে হয় না-হয় আমি কিছুই বুঝি নে।