পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডালিকা €వ জন্ম নিয়েছি ধূলিতে দয়া করে দাও ভুলিতে, নাই ধূলি মোর অস্তরে। নয়ন তোমার নত করো, দলগুলি কাপে থরে থরে । চরণপরশ দিয়ে দিয়ে, ধূলির ধনকে করো স্বগীয়, ধরার প্রেণাম আমি তোমার তরে । মা। বাছা, কিছু কিছু বুঝতে পারি তোর কথা । তুই মেয়েমানুষ, সেবাতেই তোর পুজো, সেবাতেই তোর রাজত্ব। এক নিমিষে জাত ডিঙিয়ে যেতে পারে মেয়েরাই ; ধরা পড়ে, সবাই তার রাজরানীর অংশ, যদি হঠাং স’রে পড়ে ভাগ্যের পর্দাটা । স্থযোগ তোর তো ঘটেছিল । মুগয়ায় বেরিয়ে রাজার ছেলে এসেছিল তোরই এই কুয়োতলায় । মনে পড়ে তো ? প্রকৃতি । হা, মনে পড়ে । মা ! কেন গেলি নে রাজার ঘরে । রূপ দেখে সে তো ভুলেছিল । প্রকৃতি । ভুলেছিল না তে কী । ভুলেইছিল যে, আমি মানুষ । পণ্ড মারতে বেরিয়েছিল ; চোখে ঠেকে পশুকেই, তাকেই চায় বাধতে সোনার শিকলে । মা। তবু তো শিকার বলেও ঐ মুখ লক্ষ্য করেছিল সে । আর, ভিক্ষু, সে কি মারী বলে চিনেছে তোমাকে । প্রকৃতি । বুঝবে না তুমি বুঝবে না। আমি বুঝেছি, এতদিন পরে সে'ই জামাকে প্রথম চিনেছে । সে বড়ো আশ্চর্য । গান ওগো, তোমার চক্ষু দিয়ে মেলে সত্যদৃষ্টি আমার সত্যরূপ প্রথম করেছ স্থষ্টি । তোমায় প্রণাম, তোমায় প্রণাম, ८९ङांगांध्र প্ৰণাম শতবার | আমি তরুণ অরুণলেখা, जांभि বিমল জ্যোতির রেখা,