পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে 8२^ অস্তরে কেউ-বা গভীর রহস্ত উপলব্ধি করে ; মনে করে না, গৃঢ় ব’লে কিছুই নেই ; মনে করে না, যা প্রতীয়মান তাতেই সব-কিছু নিঃশেষে ধরা পড়ছে। গত যুরোপীয় যুদ্ধে মানুষের অভিজ্ঞতা এত কর্কশ, এত নিষ্ঠুর হয়েছিল, তার বহুযুগপ্রচলিত বত-কিছু আদব ও আক্র তা সাংঘাতিক সংকটের মধ্যে এমন অকস্মাৎ ছারখার হয়ে গেল ; দীর্ঘকাল যে-সমাজস্থিতিকে একান্ত বিশ্বাস ক’রে সে নিশ্চিন্ত ছিল তা এক মুহূর্তে দীর্ণবিদীর্ণ হয়ে গেল ; মানুষ যে-সকল শোভন রীতি কল্যাণনীতিকে আশ্রয় করেছিল তার বিধ্বস্ত রূপ দেখে এতকাল যা-কিছুকে সে ভদ্র ব’লে জানত তাকে দুর্বল ব’লে, আত্মপ্রভারণার কৃত্রিম উপায় ব’লে, অবজ্ঞা করাতেই যেন সে একটা উগ্র আনন্দ বোধ করতে লাগল ; বিশ্বনিন্মুকতাকেই সে সত্যনিষ্ঠত ব’লে আজ ধরে নিয়েছে। কিন্তু, আধুনিকতার যদি কোনো তত্ত্ব থাকে, যদি সেই তত্ত্বকে নৈর্ব্যক্তিক আখ্যা দেওয়া যায়, তবে বলতেই হবে, বিশ্বের প্রতি এই উদ্ধত অবিশ্বাস ও কুৎসার দৃষ্টি এও আকস্মিক বিপ্লবজনিত একটা ব্যক্তিগত চিত্তবিকার । এও একটা মোহ, এর মধ্যেও শাস্ত নিরাসক্ত চিত্তে বাস্তবকে সহজভাবে গ্রহণ করবার গভীরতা নেই। অনেকে মনে করেন, এই উগ্রতা, এই কালাপাহাড়ি তাল-ঠোকাই আধুনিকতা । আমি তা মনে করি নে। ইনফ্লুয়েঞ্জা আজ হাজার হাজার লোককে আক্রমণ করলে ও বলব না, ইনফ্লুয়েঞ্জাটাই দেহের আধুনিক স্বভাব। এই বাহ । ইনফ্লুয়েঞ্জাটার অন্তরালেই আছে সহজ দেহস্বভাব । আমাকে যদি জিজ্ঞাসা কর বিশুদ্ধ আধুনিকতাটা কী, তা হলে আমি বলব, বিশ্বকে ব্যক্তিগত জাসক্তভাবে না দেখে বিশ্বকে নির্বিকার তদগতভাবে দেখা। এই দেখাটাই উজ্জল, বিশুদ্ধ ; এই মোহমুক্ত দেখাতেই খাটি আনন্দ । আধুনিক বিজ্ঞান ষে নিরাসক্ত চিত্তে বাস্তবকে বিশ্লেষণ করে আধুনিক কাব্য সেই নিরাসক্তচিত্তে বিশ্বকে সমগ্রবৃষ্টিতে দেখবে, এইটেই শাশ্বতভাবে আধুনিক । কিন্তু, একে আধুনিক বলা নিতান্ত বাজে কথা। এই-বে নিরাসক্ত সহজ দৃষ্টর আনন্দ এ কোনো বিশেষ কালের নয়। যার চোখ এই অনাবৃত জগতে সঞ্চরণ করতে জানে এ তারই । চীনের কবি লি-পো যখন কবিতা লিখছিলেন সে তো হাজার বছরের বেশি হল । তিনি ছিলেন আধুনিক ; তার ছিল বিশ্বৰে সস্তু-দেখা চোখ। চারটি লাইনে সাদা ভাষায় তিনি লিখছেন— এই সবুজ পাহাড়গুলোর মধ্যে থাকি কেন । ●थञ्च उcन शनि शांच्च, छदांव निहे cन । श्रांयांव्र यन निखक । ষে আর-এক আকাশে আর-এক পৃথিবীতে ৰাস করি—