পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 6:२ রবীন্দ্র-রচনাবলী তার পরে ‘বীণা বাজাও, তার পরে ‘পূর্ণ আনন্দ – কিন্তু বৃষ্টি আমার সঙ্গে সমান টঙ্কর দিয়ে চলল, তখন একটা নতুন গান ৰানিয়ে গাইতে শুরু করলুম, শেষকালে আকাশের কাছে হার মেনে রাত্রি দেড়টার সময় ক্যাবিনে এসে শুলুম । গানটা সকালেও মনে ছিল। সেটা নিচে লিখে দিচ্ছি। বেহাগ, তেওরা। —প্রবাসী, ১৩৪২ আশ্বিন, পৃ ৮৫৪ ‘সাহিত্যধর্ম’ প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ১৯২৭ সালের জুলাই মাসে ( ১৩৩৪ আষাঢ় ) পূর্বদ্বীপপুঞ্জ-ভ্রমণে বাহির হইবার অব্যবহিত পূর্বে রচনা করেন । ইহার কয়েক মাস অাগে (১৯২৬ ডিসেম্বর) দিল্লিতে প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মিলনের অধিবেশনে শ্ৰীঅমলচন্দ্র হোম তার পঠিত অভিভাষণে ‘অতি আধুনিক বাংলাকথাসাহিত্য সম্পর্কে আলোচনার স্বত্রপাত করিয়াছিলেন। ‘বিচিত্রা’য় রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধটি প্রকাশিত হইলে সাহিত্যিক মহলে নানা দিক হইতে উহার সমালোচনা হয়। এই প্রসঙ্গে শ্ৰীনরেশচন্দ্র সেনগুপ্তের ‘সাহিত্যধর্মের সীমানা ( বিচিত্রা, ১৩৩৪ ভাদ্র, পৃ ৩৮৩-৯০ ) ও ‘কৈফিয়ৎ ( বিচিত্র, ১৩৩৪ অগ্রহায়ণ, পৃ ৮৯২-৯৫ ), শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘সাহিত্যের রীতিনীতি’ (বঙ্গবাণী, ১৩ইঃ আশ্বিন, পৃ ২৩৭-৪৬), এবং দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ বাগচীর সাহিত্যধর্মের সীমান-বিচার’ ( বিচিত্র, ১৩৩৪ আশ্বিন, পৃ ৫৮৭-৬০৬ ) বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। ‘সাহিত্যে নবত্ব' প্রবন্ধটি ‘সাহিত্যধর্ম’ প্রবন্ধের অব্যবহিত পরের রচনা। রবীন্দ্রনাথ দেশে ফিরিবার পর উহা প্রকাশিত হইলেও ( প্রবাসী, ১৩৩৪ অগ্রহায়ণ ), প্রবন্ধটি বিদেশে জাভ হইতে বালি যাইবার পথে প্লানসিউজ জাহাজে যাত্রীর ডায়ারি’ আকারে ১৩৩৪ সনের ভাদ্র মাসেই লিখিত । এটি এক হিসাবে ‘সাহিত্যধর্ম’ প্রবন্ধের পরিপূরক। 'প্রবাসী হইতে কয়েকটি বঞ্জিত অনুচ্ছেদ উদ্ভূত হইল— রচনাবলী পৃ ৪•৮, প্রবন্ধের স্বচনাংশ শাস্ত্রে আছে, এক বললেন বহু হব— স্বাক্টর মূলবাণী এই। কিন্তু, এই বলার মধ্যেই আছেন ছুই— যিনি বললেন আর যিনি শুনলেন, স্বষ্টিকর্তার নিজের অস্তরেই এই বলিয়ে আর এই শুনিয়ে, ছু পারে দুজন— মাঝখানে স্বষ্টিরচন। মর্তলোকের লেখার মধ্যেও সেই একই কথা । সামন-সামনি আছে দুজনে— একজন বলে, একজন শোনে। যে শোনে তারই দাবির ছাচে বলার আকৃতি-প্রকৃতি অনেকখানিই ঢালাই হয়, তাকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা শক্ত। যদি পুইশাকের খেতের মালিক তার ঝুড়ি নিয়ে ঘাটে এসে দাড়ায় তা হলে ব্যাবসাদার কখনো জাহাজের