পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরকুমার-সভা 는 이 (: পূর্ণ। (মনে মনে অনেক আবৃত্তি করিয়া) দেবী, এই পঙ্কিল পৃথিবীর কাজে কেন আপনার পবিত্র দুইখানি হস্ত প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। কথাটা মনে যেমন লাগিতেছিল মুখে তেমন শোনাইল না, পূর্ণ বলিয়াই বুঝিতে পারিল কথাটা গদ্যের মধ্যে পদ্যের মতে কিছু যেন বাড়াবাড়ি হইয় পড়িল— লজ্জায় তাহার কান লাল হইয়া উঠিল বিপিন। (স্বাভাবিক সুগম্ভীর শাস্ত স্বরে ) পৃথিবী যত বেশি পঙ্কিল পৃথিবীর সংশোধনকার্য তত বেশি পবিত্র । শ্ৰীশ । সভার অধিবেশনে স্ত্রীসভ্য লওয়া সম্বন্ধে নিয়ম-মতে প্রস্তাব উত্থাপন করে য স্থির হয় আপনাকে জানাব। নির্মল এক মুহূত অপেক্ষা না করিয়া নিঃশব্দে চলিয়। যাইবার উপক্রম করিল চন্দ্র । (হঠাৎ ) ফেনি, আমার সেই গলার বোতামটা ? নির্মল । ( সলজ্জ হাসিয়া মৃদুকণ্ঠে ) গলাতেই আছে। চন্দ্র । ( গলায় হাত দিয়া ) হুঁ হুঁ, আছে বটে। 劃 তিন ছাত্রের দিকে চাহিয়া হাসিলেন চতুর্থ দৃশ্য অক্ষয়ের বাসা নৃপবালা ও নীরবালা নৃপবালা । আজকাল তুই মাঝে মাঝে কেন অমন গম্ভীর হচ্ছিস বল তে৷ নীরু । নীরবালা। আমাদের বাড়ির যত কিছু গাম্ভীর্য সব বুঝি তোর একলার ? আমার খুশি আমি গম্ভীর হব । নৃপবালা। তুই কী ভাবছিল আমি বেশ জানি। নীরবালা । তোর অত আন্দাজ করবার দরকার কী ভাই। এখন তোর নিজের ভাবনা ভাববার সময় হয়েছে । নৃপবালা । (নীরর গলা জড়াইয়া) তুই ভাবছিল, মাগে ম, আমরা কী জঞ্জাল — আমাদের বিদায় করে দিতেও এত ভাবনা এত ঝঞ্চাট ।