পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रवैौडज-ब्रछनांबलौ। " والاج চন্দ্রকাস্ত । আমি বললুম যে, বেলফুলের মালা আমাকে মানায় না, তার চেয়ে সাফ চাদরে ঢের বেশি শোভা হয়— পরীক্ষা করে দেখো । ক্ষান্তমণি। যাও যাও, আর ঠাটা ভালো লাগে না । ( অঞ্চলে মুখ আবরণ করিয়া ) আমি গদ্য, আমি বেলেস্তারা ! [ রোদন চন্দ্রকাস্ত । (নিকটে আসিয়া ) কথাটা বুঝলে না ভাই ! কেবল রাগই করলে । ওটা, শুদ্ধ অভিমানের কথা, আর কিছুই নয়। ভালোবাসা থাকলেই মানুষ আমন কথা বলে। আচ্ছা, তুমি আমার গা ছুয়ে বলো, তুমি ঘাটে পদ্মঠাকুরবিকে বলনি— “আমার এমনি পোড়াকপাল যে বিয়ে করে ইস্তিক মুখ কাকে বলে একদিনের তরে জানলুম না।” আমি কি সে-কথা শুনতে গিয়েছিলুম না শুনলে রাগ করতুম । 縣 ক্ষান্তমণি । আমি ককখনো পদ্মঠাকুরঝিকে ও-কথা বলিনি। চন্দ্রকাস্ত । আহা, পদ্মঠাকুরবিকে না বলতে পার, আর ঠিক ওই কথাটিই না হতেও পারে কিন্তু কাউকে কিছু বলনি ? আচ্ছা, আমার গা ছুয়ে বলে । ক্ষাস্তমণি । তা আমি সৌরভৗদিদিকে বলেছিলুম— চন্দ্রকান্ত । কী বলেছিলে । ক্ষাস্তমণি । আমি বলেছিলুম— চন্দ্রকান্ত । বলেই ফেলো না ! দেখো, আমি রাগ করব না । ক্ষান্তমণি। আমার গায়ে গয়না দেখতে পায় না বলে সৌরভৗদিদি দুঃখু করছিল তাই আমি কথায় কথায় বলেছিলুম— গয়না কোখেকে হবে । হাতে যা থাকে বই কিনতে আর বই বাধাতেই সব যায়। র্তার যত শখ সব বইয়েতেই মিটেছে। বউ না হয়ে বই হলে আদর বেশি পাওয়া যেত। তা আমি বলেছিলুম ! চন্দ্রকান্ত । ( গম্ভীর মুখে ) হাটে ঘাটে যেখানে সেখানে ৰলে বেড়াও তোমার স্বামী গরিব, তোমাকে একখানা গয়না দিতে পারে না— স্ত্রী ও রকম অপবাদ রটিয়ে বেড়ানোর চেয়ে সন্ন্যাসী হয়ে বেরিয়ে যাওয়া ভালো । ক্ষান্তমণি । তোমার পায়ে পড়ি ও রকম করে বোলো না। আমার দোষ হয়েছিল মানছি— আমি আর কখনো এমন বলব না ! চন্দ্রকান্ত । মুখে বল আর না বল মনে মনে আছে তো ! মনে মনে ভাব তো এই লক্ষ্মীছাড়াটার সঙ্গে বিয়ে হয়ে আমার গায়ে একখানা গয়না চড়ল না— তার চেয়ে যদি মুখুজেদের বড়ো ছেলে কেৰলকৃষ্ণর সঙ্গে— ক্ষান্তমণি । ( চন্দ্রের মুখ চাপা দিয়া ) আমন কথা তুমি ঠাট্টা করেও বোলো না,