পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় [ রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে মুদ্রিত গ্রন্থগুলির প্রথম সংস্করণ, বর্তমানে স্বতন্ত্র গ্রন্থাকারে প্রচলিত সংস্করণ, রচনাবলী-সংস্করণ, এই তিনটির পার্থক্য সংক্ষেপে ও সাধারণভাবে নির্দেশ করা গেল। এই খণ্ডে মুদ্রিত কোনো কোনো রচনা সম্বন্ধে কবির নিজের মন্তব্য, এবং অন্যান্য জ্ঞাতব্য তথ্যও মুদ্রিত হইল। পূর্ণতর তথ্যসংগ্ৰহ সর্বশেষ খণ্ডে একটি পঞ্জীতে সংকলিত হইবে । ] বলাকা বলাকা ১৯১৬ খৃষ্টাব্দের ( ১৩২৩ সাল ) মে মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। বিশ্বভারতী রবীন্দ্র-মুজিয়মে বলাকার প্রথমটি ব্যতীত অন্য কবিতাগুলির পাণ্ডুলিপি রক্ষিত আছে। মুজিয়ম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সেই পাণ্ডুলিপির সাহায্যে বলাকার বর্তমান সংস্করণে কয়েকটি কবিতার রচনাস্থান এবং রচনাকাল ও পাঠ সংশোধিত হইল। প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণে কবিতাগুলি শিরোনামবর্জিত ছাপা হইয়াছিল। পরবর্তী মুদ্ৰণসমূহে প্রথম ফ্লাটটি কবিতায় নাম থাকিলেও রচনাবলীতে আদ্যোপাস্ত প্রথম মুদ্রণের অনুসরণ করা হইল । ‘হে বিরাট নদী’ (৮) কবিতাটির রচনাবলীতে গৃহীত পাঠে অষ্টম ছত্রটি নূতন, পাণ্ডুলিপি হইতে প্রাপ্ত। পাখিরে দিয়েছ গান’ (২৮) কবিতাটির প্রথম শ্লোকের পরে পাণ্ডুলিপির পাঠে নিম্নোদ্ধৃত সম্পূর্ণ একটি নূতন শ্লোক আছে : ফুলের পাতার পুটে রেখে দিলে তব নাম, করে সে প্রণাম— তোমার নামের ভরে মাথা হয় নিচু তার বেশি আর নয় কিছু। দিলে জনমের প্রাতে মোর হাতে শুধু শূন্ত সাজিখানি, রক্তে দিলে শান্তিহীন খোজা, শূন্ত ভরে এনে দিই পূজা। বলাকার সকল কবিতাই সাময়িক পত্রে কবিপ্রদত্ত নাম লইয়া প্রকাশিত হইয়াছিল। তাহদের প্রথম মুদ্রণের তালিকা পরে দেওয়া হইল।