পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ায় গলদ ২২৩ আমার প্রবেfধলহরী, বারবেলাকথন, তিথিদোষ খণ্ডন, প্রায়শ্চিত্তবিধি, এবং নূতন পঞ্জিকা আপনাকে পাঠিয়ে দেব— আজ তবে আসি । [ প্রস্থান .নিবারণ। না; লোকটার বিদ্যে আছে । বাচা গেল, একটি মনের মতো সংপাত্র পাওয়া গেল। কমলের জন্তে আমার বড়ো ভাবনা ছিল । | ইন্দুমতীর প্রবেশ ইন্দুমতী । বাবা, তোমার হল ? নিবারণ। ও ইন্দু, তুই তো দেখলিনে— তোরা, সেই ষে বিনোদবাবুর লেখার এত প্রশংসা করিস তিনি আজ এসেছিলেন । ইন্দুমতী । আমার তো আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, তোমার এখানে যত রাজ্যির অকেজো লোক এসে জোটে আর আমি আড়াল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের দেখি ! আচ্ছা বাবা, চন্দ্রবাবু বিনোদবাবু ছাড়া আর একটি যে লোক এসেছিল – বদচেহারা লক্ষ্মীছাড়ার মতো দেখতে, সে কে ? নিবারণ। তবে তুই যে বলছিলি আড়াল থেকে দেখিসনে ? বদ চেহারা আবার কণর দেখলি । বাবুটি তো দিব্যি বেশ ফুটফুটে কাতিকটির মতো দেখতে । র্তার নামটি কী জিজ্ঞাসা করা হয়নি । ইন্দুমতী । তাকে আবার ভালো দেখতে হল ? দিনে দিনে তোমার কী যে পছন্দ হচ্ছে বাবা । এখন নাইতে চলো । [ নিবারণের প্রস্থান না, সত্যি, দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। যদি কার্তিককে এর মতন দেখতে হয় তা হলে কাতিককে ভালো দেখতে, বলতে হবে । মুখে একটি কথা ছিল না, কিন্তু কেমন বসে বসে সব দেখছিল আর মজা করে মুখ টিপে টিপে হাসছিল— ন সত্যি, বেশ হাসিখানি, বাবা যেমন, একবার জিজ্ঞাসাও করলেন না তার নাম কী, বাড়ি কোথায়। আর কোথা থেকে যত সব নিমাই নেপাল নিলু জুটিয়ে নিয়ে আসেন । বাবা যখন মতি হালদারের সঙ্গে বিনোদবাবুর তুলনা করছিলেন তখন সে বিনোদবাবুর মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে কেমন হাসছিল । আর, বাবা যখন বিনোদবাবুর ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করছিলেন তখন কেমন— আমি ককখনো নিমাই গয়লাকে— সেই বুড়ে ডাক্তারের ছেলেকে বিয়ে করব না । ককখনো না । সেই বুড়োটার উপর আমার এমন রাগ ধরছে — আজ একবার ক্ষান্তদিদির কাছে যেতে হচ্ছে, তার কাছ থেকে সমস্ত সন্ধান পাওয়া যাবে। هي جة سسسس ت\