পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Уbrf} রবীন্দ্র-রচনাবলী জশখ উঠিয়াছে প্রাচীর টুটি, সেখানে ছুটিতাম সকালে উঠি । শরতে ধরাতল শিশিরে ঝলমল, করবী থোলো থোলো রয়েছে ফুটি । প্রাচীর বেয়ে বেয়ে সবুজে ফেলে ছেয়ে বেগুনি ফুলে ভরা লতিকা দুটি । ফাটলে দিয়ে স্বাখি আড়ালে বসে থাকি, আঁচল পদতলে পড়েছে লুটি । মাঠের পর মাঠ, মাঠের শেষে স্বদূর গ্রামখানি আকাশে মেশে । এধারে পুরাতন শু্যামল তালবন সঘন সারি দিয়ে দাড়ায় ঘেসে । বাধের জলরেখা বলেসে, যায় দেখা, জটলা করে তীরে রাখাল এসে । চলেছে পথখানি কোথায় নাহি জানি, কে জানে কত শত নূতন দেশে । হায় রে রাজধানী পাষাণ-কায়া ! বিরাট মুঠিতলে চাপিছে দৃঢ়বলে, ব্যাকুল বালিকারে নাহিকে মায়া ! কোথা সে খোলা মাঠ, উদার পথঘাট, পাখির গান কই, বনের ছায়া ! কে যেন চারি দিকে দাড়িয়ে আছে ; খুলিতে নারি মন শুনিবে পাছে । হেথায় বৃথা কাদা, দেয়ালে পেয়ে বাধা কাদন ফিরে আসে আপন কাছে । আমার আঁখিজল কেহ না বোৰে । অবাক হয়ে সবে কারণ খোজে ।