পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় (; SO উখানপতনের মধ্য দিয়ে বিচিত্র সৌন্দর্ষে শৌর্যে কল্যাণে ভাবীকালের দূরদিগন্তব্যাপী ক্ষেত্রে নিজেকে গৌরবান্বিত করবে। ]* আমি বলার পর ধন্যবাদ জানিয়ে ও পারস্তরাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ইরানী কিছু বললেন। কৌতুহলী জনতার মধ্য দিয়ে গোধূলির আলোকে গবর্নরের সঙ্গে তার প্রাসাদে ফিরে এলুম। —বিচিত্র । আশ্বিন ১৩৩৯, পৃ. ২৯৭-২৯৮ ৪৬• পৃষ্ঠায় ২৩ ছত্রের প্রথম বাক্যটির পূর্ণতর রূপ অবশেষে হাফেজের সমাধি দেখতে বেরলুম, পিতার তীর্থস্থানে আমার মানসঅর্ঘ্য নিবেদন করতে । পাণ্ডুলিপি– هي ৪৮৩ পৃষ্ঠায় দ্বাবিংশ ছত্রের পরে [ এরকম ক্ষেত্রে বস্তুত ভয় ক্ষুদ্রকে— মহত্ত্বকে স্বীকার করার মতো পীড়া তাদের পক্ষে আর কিছু হতে পারে না, বিশেষত যে মহত্ব প্রথার বাধাপথে চিরাভ্যস্তভাবে স্বীকৃত নয়। আমি রাজাকে জানালুম তার রাজত্বে সম্প্রদায়বিরোধের হিংস্র अनूडाड ७भन আশ্চর্য শৌর্যের সঙ্গে উন্‌মূলিত হয়েছে, আজকের দিনে এইটেতে আমি সকলের চেয়ে মুগ্ধ। একবার যেন তিনি ভারতবর্ষে আসেন, এই আকাঙ্ক্ষা আমি তাকে নিবেদন করলুম। তিনি বললেন, পাশ্চাত্য দেশে ভ্রমণ করতে যাবার পূর্বে নিশ্চয় তিনি যথাসম্ভব এশিয়ার পরিচয় নিয়ে যাবেন। শ্রদ্ধাপূর্ণ হৃদয় নিয়ে ফিরে এলুম। এ কথা সকলের মুখে শুনি, রাজা বিদ্বান নন, যুরোপীয় কোনো ভাষাই তার জানা নেই, পারসিক ভাষা লিখতে পড়তে পারেন, কিন্তু ভালোরকম নয়। অর্থাৎ, তার বুদ্ধিশক্তি বিচারশক্তি বইপড়া বিদ্যার অনেক উপরে। ] পারস্তরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ-উপলক্ষে উপহারস্বরূপে আমার নিজের কতকগুলি বই রেশমের আবরণে প্রস্তুত করা ছিল। সেই সঙ্গে নিজের রচিত একটি চিত্রপটে পরপৃষ্ঠায়-উদদ্ভুত বাংলা কবিতা ও তার ইংরেজি তর্জমাটি লিখে দিয়েছিলুম— আমার হৃদয়ে অতীতস্মৃতির সোনার প্রদীপ এ যে, মরিচা-ধরানো কালের পরশ বঁাচায়ে রেখেছি মেজে।