পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qミo রবীন্দ্র-রচনাবলী যোগস্থাপন হবে । প্রধান মন্ত্রীবর্গ আজ এসে আমাকে বিদায় দিলেন । —বিচিত্র । মাঘ ১৩৩৯, পৃ. ২১-২২ ১৩৩৯ ভাত্র ও চৈত্র সংখ্যা বিচিত্রায় নানা-বক্তৃতারি রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক অন্তমোদিত অনুবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল। প্রাসঙ্গিকবোধে এখানে সেগুলি সংকলিত श्ल - বুশেয়ারের সর্বসাধারণ ও বুশেয়ারের গবর্নর -কর্তৃক অভিনন্দন আজ যে প্রদ্ধেয় অতিথিকে আমাদের মধ্যে অভ্যর্থনা করবার দুর্লভ সৌভাগ্য লাভ আমাদের ঘটেছে, এর মোহিনীশক্তি অগ্রদূত হয়ে এসে কিছুকাল ধরে আমাদের অধীর আগ্রহাম্বিত প্রতীক্ষাকে হর্ষোজ্জল করে রেখেছিল। একে পৃথিবীর সকল জাতি কতখানি শ্রদ্ধার চোখে দেখে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা নিম্প্রয়োজন ; যেখানেই মনের উৎকর্ষ আছে, বিষ্ঠা আছে, সেখানেই এর গ্রন্থাবলী যে সমাদর লাভ করেছে, জনে জনে ইনি বিতরণ করেছেন যে প্রেমের ও সমবেদনার বাণী, তাই থেকেই এর গুণের প্রভূত পরিচয় পাওয়া যায়। সাহিত্যাকাশে ইনি উজ্জ্বলতম তারকারাজির অন্ততম ; মামুষের চিন্তার মধ্যে ইনি সঞ্চারিত করেছেন যে কল্যাণের শক্তি তা যেমনি পবিত্র তেমনি নিষ্কলঙ্ক । ইন্দো-ইরান বংশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ডক্টর ঠাকুর আদর্শস্থানীয়, প্রাচ্য মনীষার মধ্যে যা-কিছু সুন্দর ও মহীয়ান তারই প্রাণবান প্রতীক। র্তার বাণীর ঐশী শক্তি পাশ্চাত্য চিন্তা ও তথাকথিত সভ্যতাকে স্বীকার করিয়েছে যে বর্তমান যুগের এই জড়-চৈতন্তের নিরস্তর দ্বন্দ্বের মীমাংসনে প্রাচ্যের কিছু দেবার আছে, কিছু ক্ষমতা আছে। মনুষ্যত্বের প্রগতিতে র্তার রচনা ছন্দোরক্ষার সহায়তা করে, কারণ, আজ আমাদের পশ্চিমের ভ্রাতার যে জড়রূপের মধ্যে একান্তভাবে নিবিষ্ট হয়ে আছেন এবং তার ফলে চরিত্রবিকৃতির যে আশঙ্কা ঘটছে, সেই আশঙ্কা দূর করবার জন্ত জড়ের মধ্যে এই ঐকান্তিক অভিনিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রয়োজন। ডক্টর ঠাকুরের এই পারস্যপরিদর্শন যেমনি সন্তোষের বিষয় তেমনি গুরুফলপ্রস্থ— কেননা, এতে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে পারস্যের বুদ্ধিগত কৃতিত্বের প্রতি উদার ভারতীয়দের কৌতুহল কতখানি, আমাদের মানসিক উৎকর্ষ ও সাহিত্যকে তারা কতখানি সমাদর করে। এই প্রদ্ধেয় সাধু আজ আমাদের চিরকৃতজ্ঞতাপাশে বাধলেন, কেননা অল্পদিনের জন্যে হলেও এমন একজন মহাপুরুষের দীপ্তির কাছাকাছি আসার