পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

82や2 রবীন্দ্র-রচনাবলী এবং রুশের সন্মতি ব্যতীত কোনো বিদেশীকে রাষ্ট্রকার্যে আহবান করা চলবে না। এ নিয়ে পার্লামেণ্টে বিরুদ্ধ আন্দোলন চলল। কিন্তু টিকল না। গুস্টার নিলেন বিদায়, রাষ্ট্রসংস্কারকরা কেউ-বা গেলেন জেলে, কেউ-বা গেলেন বিদেশে। এইসময়কার f{R+ fra sotsin The Strangling of Persia -RfT+ c7 tā fāzeitg= Stā মতো শোকাবহ ইতিহাস অল্পই দেখা যায়। এ দিকে যুরোপের যুদ্ধ বাধল। তখন রুশিয়া সেই সুযোগে পারস্যে আপন আসন আরো ফলাও করে নেবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হল। অবশেষে বলশেভিক বিপ্লবের তাড়ায় তারা গেল সরে। এই সুযোগে ইংরেজ বসল উত্তর-পারস্য দখল করে। নিরস্তর লড়াই চলল দেশবাসীদের সঙ্গে । ১৯১৯ খ্রীস্টাব্দে সার পার্সি কক্স, এলেন পারস্যে ব্রিটিশ মন্ত্রী। তিনি পারসিক গবর্মেন্টের এক দলের কাছ থেকে কড়ার করিয়ে নিলেন যে, সমগ্র পারস্তের আধিপত্য থাকবে ইংরেজের হাতে, তার শাসনকার্য ও সৈন্তবিভাগ ইংরেজের অঙ্গুলিসংকেতে চালিত হবে। একে ভদ্রভাষায় বলে প্রোটেকৃটোরেটু। এর নিগূঢ় অর্থটা সকলেরই কাছে সুবিদিত— অর্থাৎ, ওর উপক্রমণিকা বৈষ্ণবের ঝুলিতে, ওর উপসংহার শাক্তের কবলে । যাই হোক, সম্পূর্ণ পার্লামেন্টের কাছে এই সন্ধিপত্র স্বাক্ষরের জন্যে পেশ করতে কারো সাহস হল না । এই দুর্যোগের দিনে রেজা খা তার কসাক সৈন্য নিয়ে দখল করলেন তেহেরান । ও দিকে সোভিয়েট গবর্মেণ্ট সৈন্ত পাঠিয়ে উত্তর-পারস্তে ইংরেজকে প্রতিরোধ করতে এল। ইংরেজ পারস্ত ত্যাগ করলে । এতকালের নিরস্তর নিপীড়নের পর পারস্ত সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি লাভ করল। সোভিয়েট রাশিয়ার নূতন রাজদূত রট্স্টাইন এসে এই লেখাপড়া করে দিলেন যে, এত কাল সাম্রাজ্যিক রাশিয়া পারস্তের বিরুদ্ধে যে দলননীতি প্রবর্তন করেছিল সোভিয়েট গবর্মেন্ট তা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করতে প্রস্তুত। পারস্তের যে-কোনো স্বত্ব রাশিয়ার কবলে গিয়েছিল সমস্তই তারা ফিরিয়ে দিচ্ছেন ; রাশিয়ার কাছে পারস্তের যে ঋণ ছিল তার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হল এবং রাশিয়া পারস্তে যে-সমস্ত পথ বন্দর প্রভৃতি স্বয়ং নির্মাণ করেছিল কোনো মূল্য দাবি না করে সে সমস্তের স্বত্বই পারস্যকে অপর্ণ করা হল। রেজা খা প্রথমে সামরিক বিভাগের মন্ত্রী, তার পরে প্রধান মন্ত্রী, তার পরে প্রজাসাধারণের অনুরোধে রাজা হলেন। তার চালনায় পারস্ত অন্তরে বাহিরে নূতন বলে ‘বলিষ্ঠ হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রের নানা বিভাগে যে-সকল বিদেশীর অধ্যক্ষতা ছিল তারা একে একে গেছে সরে। শোষণ-লুণ্ঠন-বিভ্রাটের শাস্তি হয়ে এল, সমস্ত দেশ জুড়ে আজ কড়া