পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? X8 রবীন্দ্র-রচনাবলী তোমরা জেলেছ, নূতন কালের উদার প্রাণেরণআলো— এসেছি, হে ভাই, আমার প্রদীপে তোমার শিখাটি জালো। I carry in my heart a golden lamp of remembrance of an illumination that is past. I keep it bright against the tarnishing touch of time, Thine is a fire of a new magnanimous life. Allow it, my brother, to kiss my lamp with its flame. [ আজ সকালবেলায় শিক্ষাবিভাগের মন্ত্রী আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন শীতযাপনের প্রাসাদ দেখাবার জন্তে । তুষাররেখাঙ্কিত নীলাভ পাহাড়-ঘেরা সুন্দর দৃশ্বের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চলল। প্রাসাদের বাগানটি ঘনশ্যামল উচ্চশীর্ষ তরুচ্ছায়ায় রমণীয়। দু-তিন ভাগে বিভক্ত অনেকগুলি সিড়ি ভেঙে প্রথম তলায় যখন উঠলুম তখন আমার নিশ্বাস বড়ো একটা বাকি ছিল না। মাথার উপরে উচ্চ গম্বুজ আগাগোড়া ক্ষটিকে খচিত, আলোয় বলমল কংফু। ক্লাস্তি গোপনের জন্যে স্থির হয়ে খানিকটা দাড়িয়ে দেখা গেল । আরো এক তলা উপরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ওঠবার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে শাস্ত করে হাফ ছাড়লুম। প্রশস্ত বারানায় বেরিয়ে আসতেই দেখি, চার দিকের উদার দৃপ্ত অবারিত। আকাশ নির্মল নীল, নীচের বাগানে নিবিড়নিবদ্ধ বনস্পতির উমিল বিস্তার, ডান দিকের দিগন্তে গিরিশ্ৰেণী, সম্মুখে দূরে তেহেরান নগরী বৃক্ষব্যুহে আবৃত। এখানে বর্তমান রাজা বাস করেন না, কেননা, এ জায়গাটা তার কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে। এ প্রাসাদটি প্রাচীন নয়, বছর ত্রিশ অাগে তৈরি হয়েছে । ] —বিচিত্রা। পৌষ ১৩৩৯, পৃ. ৭৭০-৭৭১ ৪৮৫ পৃষ্ঠায় প্রথম বাক্যের পরে খানিকটা আমি ইংরেজিতে বলি, তার পরে তার তর্জমা হয় পারসিকে, এইরকম দু-রঙা দু-টুকরো তালি-দেওয়া আমার বক্তৃত । আমি যা বলেছিলেম তার মোট কথাটা হচ্ছে এই যে, প্রকৃতির শক্তিভাণ্ডারের দ্বার যুরোপ উদঘাটন করে প্রাণযাত্রাকে নানা দিক থেকে ঐশ্বর্যশালী করে তুলেছে। , এই শক্তির প্রভাবে আজকের দিনে তারা দিগ্বিজয়ী। আমরা প্রাচ্যজাতির বস্তুজগতে এই শক্তিসাধনায় শৈথিল্য করেছি, তার ফলে আমাদের দুর্বলতা সমাজের সকল