পারস্তে 8brや করে। উত্তরে কেউ বলতে পারেন, ভালো তো লাগে। কিন্তু পেটুকের ভালে৷ লাগা আর রসিকের ভালে লাগা এক নয়। কী ভালো লাগে তাই নিয়ে তর্ক। যে ময়র রসগোল্লা তৈরি করে মিষ্টারের সঙ্গে যথাপরিমিত রস সে নিজেই জুগিয়ে দেয়। পরিবেশনকর্তা মিষ্টান্ন গড়তে পারে না, কিন্তু দেদার চিনির রস ঢেলে দেওয়া তার পক্ষে সহজ। সেই চিনির রস ভালো লাগে অনেকের ; তা হোক গে, তবুও সেই ভালো লাগাতেই আর্টের যথার্থ যাচাই নয়। ইতিমধ্যে একজন সেকেলে ওস্তাদ এসে আমাকে বাজনা শুনিয়ে গেছেন, তার থেকে বুঝলুম এখানেও গানের পথে সন্ধ্যা হয় এবং বাম্বের ভয় ঘটে। এখানেও যেখুশি সরস্বতীর বীণায় রবারের তার চড়িয়ে তাকে কেবলমাত্র গায়ের জোরে টেনে টেনে দীর্ঘ করতে পারে। আজ পারস্তরাজের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হল। প্রাসাদের বৃহৎ কাপে ট-পাত ঘরে আসবাব আড়ম্বর নেই বললেই হয়। রাজার গায়ে থাকি-রঙের সৈনিক-পরিচ্ছদ । অতি অল্পদিনমাত্র হল অতি দ্রুতহস্তে পারস্যরাজত্বকে দুৰ্গতির তলা হতে উদ্ধার করে ইনি তার হৃদয় অধিকার করে বসে আছেন। এমন অবস্থায় মানুষ আপন সদ্যপ্রতিষ্ঠিত গৌরবকে অতিমাত্র সমারোহদ্বারা ঘোষণা করবার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু ইনি আপন রাজমহিমাকে অতিসহজেই ধারণ করে আছেন। খুব সহজ মহত্ত্বের মানুষ ; এর মুখের গড়নে প্রবল দৃঢ়তা, চোখের দৃষ্টিতে প্রসন্ন ঔদার্য। সিংহাসনে না ছিল তার বংশগত অধিকার, না ছিল আভিজাত্যের দাবি ; তবু যেমনি তিনি রাজাসনে বসলেন অমনি প্রজার হৃদয়ে তার স্থান অবিলম্বে স্বীকৃত হল । দশ বছর মাত্র তিনি রাজা হয়েছেন কিন্তু সিংহাসনের চারি দিকে আশঙ্কা উদবেগের দুর্গম বেড়া সতর্কতায় কণ্টকিত হয়ে ওঠে নি। সেদিন অমিয় দেখে এসেছেন নতুন রাস্ত তৈরি হচ্ছে, রাজা স্বয়ং পথে দাড়িয়ে বিনা আড়ম্বরে পরিদর্শনে নিযুক্ত । ইতিমধ্যে একদিন প্রধান রাজমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল। তাকে বললুম, বহুযুগের উগ্র সংস্কারকে নম্র করে দিয়ে তারা এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বের্যবৃদ্ধিকে নির্বিষ করেছেন এই দেখে আমি আনন্দিত । তিনি বললেন, যতটা আমাদের ইচ্ছা ততটা সফলতা এখনো পাই নি। মানুষ তো আমরা সকলেই, আমাদের মধ্যে মামুষোচিত সম্বন্ধ সহজ ও ভদ্র না হওয়াই अडूङ । আমি যখন বললুম পারস্তের বর্তমান উন্নতিসাধনা একদিন হয়তো ভারতবর্ষের দৃষ্টান্তস্থল হতে পারে, তিনি বললেন, রাষ্ট্রীয় অবস্থা সম্বন্ধে ভারতবর্ষ ও পারস্যের মধ্যে
