পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి రీ রবীন্দ্র-রচনাবলী নীল আকাশের স্বরটি নিয়ে বাজাক আমার বিজন মনে, ধূসর পথের উদাস বরন মেলুক আমার বাতায়নে। স্থর্য-ডোবার রাঙা বেলায় ছড়াব প্রাণ রঙের খেলায়, আপন-মনে চোখের কোণে অশ্র-আভাস উঠবে ভেসে । গান্ধারের দৃত এল মন্ত্ররাজধানীতে। বিবাহ-প্রস্তাব শুনে রাজা বললে, “আমার কন্যার দুর্লভ ভাগ্য ।” সখীরা রাজকন্যাকে গিয়ে বললে – বাজিবে, সখী, বাশি বাজিবে। হৃদয়রাজ হৃদে রাজিবে । বচন রাশি রাশি কোথা যে যাবে ভাসি, অধরে লজিহাসি সাজিবে । নয়নে আঁখিজল করিবে ছলছল, সুখবেদন মনে বাজিবে । মরমে মুরছিয়া মিলাতে চাবে হিয়া সেই চরণযুগরাজীবে ॥ চৈত্রপূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে শুভলগ্ন। সেই বিবাহরাত্রে দূরে একলা বসে রাজার বুকের মধ্যে রক্ত ঢেউ খেলিয়ে উঠল। কেবলই তার মনে হতে লাগল, লোকান্তরে কার সঙ্গে এইরকম জ্যোৎস্বারাত্রে সে যেন এক-দোলায় দুলেছিল। ভুলে-যাওয়ার কুহেলিকার ভিতর থেকে পড়েছে মনে। একটা পদ তার মনে গুঞ্জরিয়া উঠছে ভুলে৷ नां- डूलां नां- फूलों नी'— সেদিন দুজনে তুলেছিঃ বনে, ফুলডোরে বাধা ঝুলনা । সেই স্মৃতিটুকু কভু খনে খনে যেন জাগে মনে, ভুলো না । সেদিন বাতাসে ছিল তুমি জান আমারি মনের প্রলাপ জড়ানো, আকাশে আকাশে আছিল ছড়ানো তোমার হাসির তুলনা। যেতে যেতে পথে পূর্ণিমারাতে চাদ উঠেছিল গগনে, দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে কী জানি কী মহাঙ্গগনে ।