পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশেষ বর্ণসমারোহে দীপ্ত মরণের দিগন্তের সীমা, জীবনের হেরিকু মহিমা । এই শেষ কথা নিয়ে নিশ্বাস আমার যাবে থামি,— কত ভালোবেসেছিকু আমি । অনন্ত রহস্য তারি উচ্ছলি আপন চারিধার জীবন মৃত্যুরে দিল করি একাকার ; বেদনার পাত্র মোর বারম্বার দিবসে নিশীথে ভরি দিল অপুর্ব অমৃতে । দুঃখের দুর্গম পথে তীর্থযাত্রা করেছি একাকী, হানিয়াছে দারুণ বৈশাখী । কত দিন সঙ্গীহীন, কত রাত্রি দীপালোকহারা, তারি মাঝে অন্তরেতে পেয়েছি ইশারা। নিন্দার কণ্টকমাল্যে বক্ষ বিধিয়াছে বারে বারে, বরমাল্য জানিয়াছি তারে । আলোকিত ভুবনের মুখপানে চেয়ে নির্নিমেষ বিস্ময়ের পাই নাই শেষ । ষে-লক্ষ্মী আছেন নিত্য মাধুরীর পদ্ম-উপবনে, পেয়েছি তাহার স্পর্শ সর্ব অঙ্গে-মনে । ষে-নিশ্বাস তরঙ্গিত নিখিলের অশ্রতে হাসিতে, তারে আমি ধরেছি বাশিতে । যাহারা মানুষরূপে দৈববাণী অনির্বচনীয় র্তাহাদের জেনেছি আত্মীয়। কতবার পরাভব, কতবার কত লজ্জা ভয়, তবু কণ্ঠে ধ্বনিয়াছে অসীমের জয়। অসম্পূর্ণ সাধনায় ক্ষণে ক্ষণে ক্রন্দিত আত্মার খুলে গেছে অবরুদ্ধ দ্বার। NbrS