পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ولا a (بما কত ফুলের যৌবন যায় চুকে একবেলাকার মৌমাছিদের প্রেমে। মধুর পালা রেণুকণার মুখে ঝরা পাতায় ক্ষণিকে যায় থেমে । ফাগুনফুলে ভরেছিলে সাজি, শ্রাবণমাসে আনো ফলের ভিড় । সেতারেতে ইমন উঠে বাজি সুরবাহারে দিক কানাড়ার মিড়। २ छांझ > ७७४ বসন্ত-উৎসব এ-বৎসর দোলপূর্ণিমা ফাঙ্কন পার হয়ে চৈত্রে পৌছল। আমের মুকুল নিঃশেষিত, আমবাগানে মৌমাছির ভিড় নেই, পলাশ-ফোটার পালা ফুরল, গাছের তলায় শুকনো শিমুল তার শেষমধু পিপড়েদের বিলিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছে। কাঞ্চনশাখা প্রায় দেউলে, ঐশ্বর্ষের অল্প কিছু বাকি। কেবল শালের বীথিক ভরে উঠেছে মঞ্চরিতে। উৎসব-প্রভাতে আশ্রমকন্যারা ঋতুরাজের সিংহাসন প্রদক্ষিণ করলে এই পুষ্পিত শালের বনে, তার বন্ধলে আবির মাখিয়ে দিলে, তার ছায়ায় রাখলে মাল্যপ্রদীপের অর্থ্য। চতুর্দশীর চাদ যখন অস্তদিগন্তে, প্রভাতের ললাটে যখন অরুণ-আবিরের তিলকরেখা ফুটে উঠল, তখন আমি এই ছন্দের নৈবেদ্য বসন্ত-উৎসবের বেদির জন্য রচনা করেছি। আশ্রমসখা হে শাল, বনস্পতি, লহো অামাদের নতি । তুমি এসেছিলে মোদের সবার আগে প্রাণের পতাকা রাঙায়ে হরিৎরাগে, সংগ্রাম তব কত ঝঙ্কার সাথে, কত দুদিনে কত দুর্যোগরাতে জয়গৌরবে উর্ধ্বে তুলিলে শির হে বীর, হে গম্ভীর।