পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৱিশেষ প্ৰণাম অর্থ কিছু বুঝি নাই, কুড়ায়ে পেয়েছি কবে জানি নানা বর্ণে চিত্র-করা বিচিত্রের নর্মবৰ্ণশিখানি যাত্রাপথে। সে-প্রত্যুষে প্রদোষের আলো অন্ধকার প্রথম মিলনক্ষণে লভিল পুলক দোহাকার রক্ত-অবগুণ্ঠনচ্ছায়ায় । মহামৌন-পারাবারে প্রভাতের বাণীবন্যা চঞ্চলি মিলিল শতধারে তুলিল হিল্লোলদোল । কত যাত্রী গেল কত পথে দুর্লভ ধনের লাগি অভ্ৰভেদী দুর্গম পর্বতে দুস্তর সাগর উত্তরিয়া। শুধু মোর রাত্রিদিন, শুধু মোর আনমনে পথ-চলা হল অর্থহীন । গভীরের স্পর্শ চেয়ে ফিরিয়াছি, তার বেশি কিছু হয় নি সঞ্চয় করা, অধরার গেছি পিছু পিছু। আমি শুধু বঁাশরিতে ভরিয়াছি প্রাণের নিশ্বাস, বিচিত্রের সুরগুলি গ্রন্থিবারে করেছি প্রয়াস আপনার বীণার তন্তুতে। ফুল ফোটাবার আগে ফাল্গুনে তরুর মর্মে বেদনার যে-স্পন্দন জাগে আমন্ত্রণ করেছিমু তারে মোর মুগ্ধ রাগিণীতে উৎকণ্ঠাকম্পিত মুর্ছনায়। ছিন্ন পত্র মোর গীতে ফেলে গেছে শেষ দীর্ঘশ্বাস । ধরণীর অন্তঃপুরে রবিরশ্মি নামে যবে, তৃণে তৃণে অস্কুরে অস্কুরে যে-নিঃশব্দ হুলুধ্বনি দূরে দূরে যায় বিস্তারিয়া ধূসর যবনি-অন্তরালে, তারে দিহু উৎসারিয়া