পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳեր রবীন্দ্র-রচনাবলী কালের সে-লুকাচুরি, তারি মাঝে সংকল্প সে কার প্রতিদিন করে মস্ত্রোচ্চার, বলে অবিশ্রাম,— t ‘বুদ্ধের শরণ লইলাম। প্রাণ যার দুদিনের, নাম যার মিলাল নিঃশেষে সংখ্যাতীত বিস্মৃতের দেশে, পাষাণের ছন্দে ছন্দে বাধিয়া গেছে সে আপনার অক্ষয় প্রণাম,— ‘বুদ্ধের শরণ লইলাম।” কত যাত্রী কতকাল ধরে নম্রশিরে দাড়ায়েছে হেথা করজোড়ে । পুজার গম্ভীর ভাষা খুজিতে এসেছে কত দিন, তাদের আপনকণ্ঠ ক্ষীণ । ইঙ্গিতপুঞ্জিত তুঙ্গ পাষাণের সংগীতের তানে আকাশের পানে উঠেছে তাদের নাম, জেগেছে অনস্ত ধ্বনি,—“বুদ্ধের শরণ লইলাম।” অর্থ আজ হারায়েছে সে-যুগের লিখা, নেমেছে বিস্মৃতিকুহেলিকা । অর্ঘ্যশূন্ত কৌতুহলে দেখে যায় দলে দলে আসি ভ্রমণবিলাসী,— বোধশূন্ত দৃষ্টি তার নিরর্থক দৃশ্ব চলে গ্রাসি । চিত্ত আজি শান্তিহীন লোভের বিকারে, k হৃদয় নীরস অহংকারে । ক্ষিপ্রগতি বাসনার তাড়নায় তৃপ্তিহীন ত্বরা, কম্পমান ধরা ; বেগ শুধু বেড়ে চলে উর্ধ্বশ্বাসে মৃগয়া-উদ্দেশে, লক্ষ্য ছোটে পথে পথে, কোথাও পৌঁছে না পরিশেষে ;