পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় & R & ফাঙ্কনে ধরণীর যৌবনডালি ভরে সেই রসসঞ্চয় । তার পরে আশ্বিনে মেঘ উদাসীন শূন্ত গগনতলে সম্বলহীন ;– স্বচ্ছ প্রভাতে ধরা চাহে তার পানে, বিদায়ঋতুরে নাহি ডরে। আলোতে শিশিরে আর সৌরভে প্রাণে গৌরবে বিচ্ছেদ ভরে । ‘সাগরিকা’ কবিতাটির মহুয়ায় প্রচলিত পাঠে নিম্নমুদ্রিত একটি সম্পূর্ণ স্তবক বর্জিত হইয়াছে। পাণ্ডুলিপি ও মাসিক পত্রে ( প্রবাসী, ১৩৩৪ পৌষ ) প্রাপ্ত এই স্তবকটির স্থান বর্তমান পাঠের চতুর্থ স্তবকের পরে : পরের দিনে তরুণ উষা বেণুবনের আগে জাগিল যবে নব অরুণরাগে,— নীরবে আসি দাড়াতু তব আঙন-বাহিরেতে, শুনিতু কান পেতে, গভীর স্বরে জপিছ কোনখানে উদবোধনমন্ত্র যাহা নিয়েছ তব কানে, একদা দোহে পড়েছি যেই মোহমোচন বাণী মহাযোগীর চরণ স্মরি’ যুগল করি’ পাণি । ‘বিদায়সম্বল’ কবিতাটির প্রচলিত পাঠে বর্জিত শেষ শ্লোকটি পাণ্ডুলিপি ও বিচিত্র ( ১৩৩৪ কাতিক ) হইতে নিম্নে সংকলিত হইল : যাবার দিকের পথিক যখন শেষ কাদা শেষ হাসা মিটায়ে চলিছে, থাক-না তখন মিছে ওইটুকু আশা। বিদায়ের আগে সজল আঁখিতে উঠুক ঘনিয়া ক্ষণিকের গীতে ‘ভুলিব না কভু এই কথাটিতে অন্তিম ভালোবাসা । S to 58