পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లy& রবীন্দ্র-রচনাবলী কিশোরের প্রবেশ কিশোর। হা নন্দিনী, এখনি তার সঙ্গে দেখা হবে, মনটা ঠিক করে রাখে । জানি নে, প্রহরীদের কর্তা আমার মুখ দেখে কেন দয়া করলে। আমার অনুরোধে এই পথ দিয়ে বিশুকে নিয়ে যেতে রাজী হল। নন্দিনী। প্রহরীদের কর্তা ? তবে কি— কিশোর। হা, ওই-যে আসছে। নন্দিনী । ওকি ! তোমার হাতে হাতকড়ি ! পাগলভাই, তোমাকে ওরা অমন করে কোথায় নিয়ে চলেছে । বিশুকে নিয়ে প্রহরীর প্রবেশ বিশু। ভয় নেই, কিছু ভয় করিস নে। পাগলী, এতদিন পরে আমার মুক্তি হল । নন্দিনী। কী বলছ বুঝতে পারছি নে । বিশু। যখন ভয়ে-ভয়ে পদে-পদে বিপদ সামলে চলতুম তখন ছাড়া ছিলুম। সেই ছাড়ার মতো বন্ধন আর নেই। নন্দিনী । কি দোষ করেছ যে এরা তোমাকে বেঁধে নিয়ে চলেছে । বিশু। এতদিন পরে আজ সত্যকথা বলেছিলুম। নন্দিনী । তাতে দোষ কী হয়েছে । বিশু। কিচ্ছ না। নন্দিনী । তবে এমন করে বাধলে কেন । বিশু। এতেই বা ক্ষতি কী হল । সত্যের মধ্যে মুক্তি পেয়েছি— এ-বন্ধন তারি সত্য সাক্ষী হয়ে রইল । নন্দিনী । ওরা তোমাকে পশুর মতো রাস্তা দিয়ে বেঁধে নিয়ে চলেছে, ওদের নিজেরি লজ্জা করছে না ? ছি ছি, ওরাও তো মানুষ । বিশু । ভিতরে মস্ত একটা পশু রয়েছে-যে— মানুষের অপমানে ওদের মাথা হেঁট হয় না, ভিতরকার জানোয়ারটার লেজ ফুলতে থাকে, দুলতে থাকে। নন্দিনী । আহা পাগলভাই, ওরা কি তোমাকে মেরেছে। এ কিসের চিহ্ন তোমার গায়ে । বিশু। চাবুক মেরেছে, যে-চাৰুক দিয়ে ওরা কুকুর মারে। ষে-রশিতে এই