এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
পরিশেষ তোমারে করিব হেয়, সে কি মোর শ্রেয় । ঘটখানি নামাইয়া চরণে প্রণাম ক’রে কহিলাম, “অপরাধী করিয়ো না মোরে ।” শুনিয়া আমার মুখে তুলিলে নয়ন বিশ্বজয়ী, হাসিয়া কহিলে, “হে মৃন্ময়ী, পুণ্য যথা মৃত্তিকার এই বস্থঙ্করা শু্যামল কাস্তিতে ভরা, সেইমতে তুমি লক্ষ্মীর আসন, তার কমলচরণ আছ চুমি । স্বন্দরের কোনো জাত নাই, মুক্ত সে সদাই । । তাহারে অরুণরাঙা উষা পরায় আপন ভূষা ; তারণময়ী রণতি দেয় তার বরমাল্য গণথি । মোর কথা শোনো, শতদল পঙ্কজের জাতি নেই কোনো । যার মাঝে প্রকাশিল স্বগের নির্মল অভিরুচি । সেও কি অশুচি । বিধাতা প্রসন্ন যেথা আপনার হাতের স্বষ্টিতে নিত্য তার অভিষেক নিখিলের আশিসবৃষ্টিতে ।” জলভরা মেঘস্বরে এই কথা ব’লে তুমি গেলে চলে । তার পর হতে এ ভঙ্গুর পাত্ৰখানি প্রতিদিন উষার আলোতে নানা বর্ণে আঁকি, নানা চিত্ররেখা দিয়ে মাটি তার ঢাকি । ২৬৫