পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిఫె: রবীন্দ্র-রচনাবলী সঙ্গে রক্তকরবীর রঙ কিছু যেন মিশেছে, তাতেই রক্তিম এতটা ভয়ংকর হয়ে সর্দার। তা হবে, মনের কথা মন নিজেও জানে না। তুমি চলে এসে আমার সঙ্গে । 匣 * [ উভয়ের প্রস্থান নন্দিনীর প্রবেশ নন্দিনী । দেখতে দেখতে সি দুরে মেঘে আজকের গোধূলি রাঙা হয়ে উঠল। ওইকি আমাদের মিলনের রঙ । আমার সিথের সিদুর যেন সমস্ত আকাশে ছড়িয়ে গেছে। ( জানলায় ঘা দিয়ে ) শোনো, শোনো, শোনো । দিনরাত এখানে পড়ে থাকব, যতক্ষণ না শোনো । গোসাইয়ের প্রবেশ গোসাই । ঠেলছ কাকে । নন্দিনী । তোমাদের যে-অজগর আড়ালে থেকে মানুষ গেলে তাকে । - গোসাই। হরি হরি, ভগবান যখন ছোটোকে মারেন তখন তার ছোটোমুখে বড়োকথা দিয়েই মারেন। দেখো নন্দিনী, তুমি নিশ্চয় জেনো, আমি তোমার মঙ্গল চিন্তা করি । t নন্দিনী । তাতে আমার মঙ্গল হবে না । গোসাই। এসো আমার ঠাকুরঘরে, তোমাকে নাম শোনাইগে । নন্দিনী । শুধু নাম নিয়ে করব কী। গোসাই । মনে শাস্তি পাবে। =ج নন্দিনী। শাস্তি যদি পাই তবে ধিক্ ধিক্ ধিক্ আমাকে । আমি এই দরজায় অপেক্ষা করে বসে থাকব। - গোসাই। দেবতার চেয়ে মহিষের পরে তোমার বিশ্বাস বেশী ? নন্দিনী । তোমাদের ওই ধ্বজদণ্ডের দেবতা, সে কোনো দিনই নরম হবে না। কিন্তু জালের আড়ালের মানুষ চিরদিনই কি জালে বাধা থাকবে । যাও যাও, যাও। মানুষের প্রাণ ছিড়ে নিয়ে তাকে নাম দিয়ে ভোলাবার ব্যবসা তোমার । , . [ গোসাইয়ের প্রস্থান ফাগুলাল ও চন্দ্রার প্রবেশ ফাগুলাল। বিশু তোমার সঙ্গে এল, সে এখন কোথায় । সত্য করে বলে । নন্দিনী । তাকে বন্দী করে নিয়ে গেছে।