পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ما ه ج সরল বিশ্বাস ; কুটিল হাসি ঘটিয়ে তোলে জটিল সর্বনাশ । নিরাশ দুঃখে চেয়ে দেখি পৃথ্বীব্যাপী মানববিভীষিক জালায় মানবলোকালয়ে প্রলয়বহ্নিশিখা, লোভের জালে বিশ্বজগৎ ঘেরে, ভেবে না পাই কে বাচাবে আপনহানা অন্ধ মামুষেরে। হেনকালে স্নিগ্ধ ছায়ায় হঠাৎ কোকিল ডাকে ফুল্ল অশোকশাথে ; পরশ করে প্রাণে যে-শাস্তিটি সব-প্রথমে, যে-শাস্তিটি সবার অবসানে, যে-শাস্তিতে জানায় আমায় অসীম কালের অনির্বচনীয়,— “তুমি আমার প্রিয়।” ১৮ অক্টোবর ১৯২৭ পিনাঙ কণ্টিকারি শিলঙে এক গিরির খোপে পাথর আছে খসে,— তারি উপর লুকিয়ে ব’সে রোজ সকালে গেথেছিলেম ভোরের স্বরে গানের মালা । প্রথম সুর্যোদয়ের সঙ্গে ছিল আমার মুখোমুখির পালা । ডানদিকেতে অফলা এক পিচের শাখা ভরে ফুল ফোটে আর ফুল পড়ে যায় ঝরে । কালো ডানায় হলদে আভাস কোন পাখি সেই অকারণের গানে ক্লাস্তি নাহি জানে,—