পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२२ রবীন্দ্র-রচনাবলী গান আমরা বাস্তুছাড়ার দল, ভবের পদ্মপত্রে জল । আমরা করছি টলমল । মোদের আলাঘাওয়া শূন্ত হাওয়া নাইকে ফলাফল । রাজা। তুমি আমাকে দলে টানতে চাও? অতদূর এগোতে পারব না। আমাকে মন্ত্রীরা মিলে সভাছাড়া করেছে, তাই বলে কি কবির দলে ভিড়ে শেষে— কবি। শুধু আমাকে দেখে ভয় পাবেন না, এ দলে আপনি রাজসঙ্গীও পাবেন। রাজা । রাজসঙ্গী ? কে বলে তো । কবি । ঋতুরাজ । রাজা । ঋতুরাজ ? বসন্ত ? কবি । হা মহারাজ। তিনি চিরপলাতক । আমারই মতো। পৃথ্বী তাকে সিংহাসনে বসিয়ে পৃথ্বীপতি করতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি— রাজা । বুঝেছি, বোধ করি রাজকোষের অবস্থা দেখে পালাতে ইচ্ছে করছেন। কবি । পৃথিবীর রাজকোষ পুর্ণ করে দিয়ে তিনি পালান। রাজা । কী দুঃখে । কবি । দুঃখে নয়, আনন্দে । রাজা । কবি, তোমার হেঁয়ালি রাখে ; আমার অধ্যাপকের দল তোমার হেঁয়ালি শুনে রাগ করে, বলে ওগুলোর কোনো অর্থ নেই । আজ বসন্ত-উৎসবে কী পালা তৈরি করেছ সেইটে বলে । কবি । আজ সেই পলাতকার পালা । রাজা। বেশ বেশ । ৰুঝতে পারব তো ? কবি । বোঝাবার চেষ্টা করি নি । রাজা। তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু না-বোঝাবার চেষ্টা কর নি তো ? কবি । না মহারাজ, এতে মুলেই অর্থ নেই, বোঝা না-বোঝার কোনো বালাই নেই, কেবল এতে স্বর আছে। রাজা । আচ্ছ বেশ, শুরু হ’ক। কিন্তু ওদিকে মন্ত্রণাসভার কাজ চলছে, আওয়াজ শুনে মন্ত্রীরা তো—