পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী গভীর আনন্দক্ষণ কতদিন তব মঞ্জরিতে একান্ত মিশিয়াছিল একখানি অখণ্ড সংগীতে আলোকে আলাপে হাস্তে, বনের চঞ্চল আন্দোলনে, বাতাসের উদাস নিশ্বাসে । প্রীতিমিলনের ক্ষণে সেদিনের প্রিয় সে কোথায়, বর্ষে বর্ষে দোলা দিত যাহার প্রাণের বেগ উৎসব করিয়া তরঙ্গিত। তোমার বীথিকাতলে তার মুক্ত জীবনপ্রবাহ আনন্দচঞ্চল গতি মিলায়েছে আপন উৎসাহ পুষ্পিত উৎসাহে তব । হায়, আজি তব পত্রদোলে সেদিনের স্পর্শ নাই । তাই এই বসন্তকল্লোলে, পুর্ণিমার পূর্ণতায়, দেবতার অমৃতের দানে মর্ত্যের বেদনা মেশে । চাহি আজ দূর পানে স্বপ্লচ্ছবি চোখে ভাসে,— ভাবী কোন ফাঙ্কনের রাতে দোলপূর্ণিমায়, সাজাতে আসিছে কারা পদ্মপাতে পলাশ বকুল চাপা, আলিম্পনলেখা একে দিতে তব ছায়াবেদিকায়, বসন্তের আবাহন গীতে প্রসন্ন করিতে তব পুষ্পবরিষন। সে-উৎসবে আজিকার এই দিন পথপ্রান্তে লুষ্ঠিত নীরবে । কোলে তার পড়ে আছে এ-রাত্রির উৎসবের ডালা । আজিকার অর্ঘ্যে আছে যতগুলি সুরে-গাথা মালা, কিছু তার শুকায়েছে, কিছু তার আছে অমলিন ; দুয়েকটি তুলে নিল যাত্রীদল ; সে-দিন এ-দিন দোহে দোহা মুখ চেয়ে বদল করিয়া নিল মালা,— নূতনে ও পুরাতনে পূর্ণ হল বসন্তের পালা। । v कांस्तुन * ०७8 [ শাস্তিনিকেতন ।