পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$y at $998 রবীন্দ্র-রচনাবলী সুসময় বৈশাখী ঝড় যতই আঘাত হানে সন্ধ্যাসোনার ভাণ্ডারদ্বার-পানে, দস্থ্যর বেশে যতই করে সে দাবি কুষ্ঠিত মেঘ হারায় সোনার চাবি, গগন সঘন অবগুণ্ঠন টানে। খোলো খোলো মুখ বনলক্ষ্মীরে ডাকে, নিবিড় ধুলায় আপনি তাহারে ঢাকে। ‘আলো দাও হাকে, পায় না কাহারো সাড়া, আঁধার বাড়ায়ে বেড়ায় লক্ষ্মীছাড়া, পথ সে হারায় আপন ঘূর্ণিপাকে। তারপরে যবে শিউলিফুলের বাসে শরৎলক্ষ্মী শুভ্র আলোয় ভাসে, নদীর ধারায় নাই মিছে মত্ততা, কুন্দকলির স্নিগ্ধশীতল কথা, মৃদু উচ্ছ্বাস মর্মরে ঘাসে ঘাসে,— শিশির যখন বেণুর পাতার আগে রবির প্রসাদ নীরব চাওয়ায় মাগে, সবুজ খেতের নবীনধানের শিষে ঢেউ খেলে যায় আলোকছায়ায় মিশে, গগনসীমায় কাশের র্কাপন লাগে,— হঠাৎ তখন স্বর্ধডোবার কালে দীপ্তি লাগায় দিক্ললনার ভালে ; মেঘ ছেড়ে তার পর্দা আঁধার-কালো, কোথায় সে পায় স্বৰ্গলোকের আলো, চরম খনের পরম প্রদীপ জালে ।