পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী \96אס: কম, তৰু যা হ’ক তোমাদের সোজা পথে নিয়ে চলি। কিন্তু আজ বলে রাখলুম, ওই মেয়েটা ওর রক্তকরবীর মালার ফাসে তোমাকে সর্বনাশের পথে টেনে আনবে । [ চন্দ্রা ও ফাগুলালের প্রস্থান নন্দিনীর প্রবেশ নন্দিনী । পাগলভাই, দূরের রাস্তা দিয়ে আজ সকালে ওরা পৌষের গান গেয়ে মাঠে যাচ্ছিল, শুনেছিলে ? বিশু। আমার সকাল কি তোর সকালের মতো যে, গান শুনতে পাব । এ-যে ক্লাস্ত রাত্তিরটারই বেটিয়ে-ফেলা উচ্ছিষ্ট । নন্দিনী । আজ মনের খুশিতে ভাবলুম, এখানকার প্রাকারের উপর চড়ে ওদের গানে যোগ দেব। কোথাও পথ পেলুম না, তাই তোমার কাছে এসেছি। বিশু । আমি তো প্রাকার নই। নন্দিনী । তুমিই আমার প্রাকার । তোমার কাছে এসে উচুতে উঠে বাহিরকে দেখতে পাই । F বিশু । তোমার মুখে এ কথা শুনে আশ্চর্য লাগে । নন্দিনী । কেন । বিশু। যক্ষপুরীতে ঢুকে অবধি এতকাল মনে হত, জীবন হতে আমার আকাশখানা হারিয়ে ফেলেছি। মনে হত, এখানকার টুকরো মানুষদের সঙ্গে আমাকে এক টেকিতে কুটে একটা পিণ্ড পাকিয়ে তুলেছে। তার মধ্যে ফাক নেই। এমনসময় তুমি এসে আমার মুখের দিকে এমন করে চাইলে, আমি বুঝতে পারলুম আমার মধ্যে এখনো অালো দেখা যাচ্ছে । নন্দিনী । পাগলভাই, এই বন্ধ গড়ের ভিতরে কেবল তোমার-আমার মাঝখানটাতেই একখানা আকাশ বেঁচে আছে । বাকি আর-সব বোজ । বিশু। সেই আকাশটা আছে বলেই তোমাকে গান শোনাতে পারি। গান তোমায় গান শোনাব তাইতে আমায় জাগিয়ে রাখ, ওগো ঘুমভাঙানিয়া । ৰুকে চমক দিয়ে তাই তো ডাক,

  • ওগো দুখজাগানিয়া ।

》( 8