পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$3२ রবীন্দ্র-রচনাবলী "দাদামশায়, শাবাশ । তোমার কালের মনের গতি, পেলেম তারি ইতিহাসের আভাস।” খাতা নিতে হাত বাড়াল, চাদরেতে দিলেম তাহ ঢাকা, কইল্প তারে, “দেখ, তো ভায়া, কোথায় আছে তোর অমিয়কাকা ।” ২৭ অক্টোবর [ ১৯২৭ ] আবা-মার জাহাজ । গঙ্গা আশীৰ্বাদ তরুণ আশীৰ্বাদ প্রার্থীর প্রতি প্রাচীন কবির নিবেদন শ্ৰীযুক্ত দিলীপকুমার রায়ের উদ্দেশে— নিম্নে সরোবর স্তব্ধ হিমাদ্রির উপত্যকাতলে । উর্ধের্ব গিরিশৃঙ্গ হতে শ্রান্তিহীন সাধনার বলে তরুণ নিৰ্ব্বর ধায় সিন্ধুসনে মিলনের লাগি অরুণোদয়ের পথে । সে কহিল, "আশীর্বাদ মাগি হে প্রাচীন সরোবর ।” সরোবর কহিল হাসিয়া, “আশিস তোমারি তরে নীলাম্বরে উঠে উদ্ভাসিয়া প্রভাতসূর্যের করে ; ধ্যানমগ্ন গিরিতপস্বীর বিগলিত করুণার প্রবাহিত আশীর্বাদনীর তোমারে দিতেছে প্রাণধারা । আমি বনচ্ছায়া হতে, নির্জনে একান্তে বসি, দেখি নির্বারিত স্রোতে সংগীত-উদ্বেল নৃত্যে প্রতিক্ষণে করিতেছ। জয় মসীকৃষ্ণ বিল্পপুঞ্জ, পথরোধী পাষাণসঞ্চয়, গৃঢ় জড় শক্রদল। এই তব যাত্রার প্রবাহ আপনার গতিবেগে আপনার জাগায় উৎসাহ ।” ১৪ পৌষ ১৩৩৫