পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী \లిఫిసి রাজা। ওই-যে দেখছি, সর্দার সৈন্য নিয়ে আসছে। এত শিগগির কী করে সম্ভব হল । আগে থাকতেই প্রস্তুত ছিল, কেবল আমিই জানতে পারি নি। ঠকিয়েছে আমাকে । অামারি শক্তি দিয়ে আমাকে বেঁধেছে । ফাগুলাল । আমার দলবল তো এখনো এসে পৌছল না। রাজা । সর্দার নিশ্চয় তাদের ঠেকিয়ে রেখেছে। আর তারা পৌছবে না। নন্দিনী । মনে ছিল, বিশুপাগলকে তারা আমার কাছে এনে দেবে । সে কি আর হবে না । রাজা উপায় নেই। পথঘাট আটক করতে সর্দারের মতো কাউকে দেখি নি । ফাগুলাল। তা হলে চলো নন্দিনী, তোমাকে নিরাপদ জায়গায় রেখে এসে তার পরে যা হয় হবে । সর্দার তোমাকে দেখলে রক্ষা থাকবে না । নন্দিনী । এক আমাকেই নিরাপদের নির্বাসনে পাঠাবে ? ফাগুলাল, তোমাদের চেয়ে সর্দার ভালো, সেই আমার জয়যাত্রার পথ খুলে দিলে । সর্দার, সর্দার – দেখে, ওর বর্শার আগে আমার কুন্দকুলের মালা দুলিয়েছে। ওই মালাকে আমার বুকের রক্তে রক্তকরবীর রঙ করে দিয়ে যাব।— সর্দার । আমাকে দেখতে পেয়েছে। জয় রঞ্জনের জয় | [ দ্রুত প্রস্থান রাজা। নন্দিনী । [ প্রস্থান অধ্যাপকের প্রবেশ ফাগুলাল । কোথায় ছুটেছ, অধ্যাপক। অধ্যাপক। কে-যে বললে, রাজা এতদিন পরে চরম প্রাণের সন্ধান পেয়ে বেরিয়েছে— পুথিপত্র ফেলে সঙ্গ নিতে এলুম। ফাগুলাল। রাজা তো ওই গেল মরতে, সে নন্দিনীর ডাক শুনেছে। অধ্যাপক। তার জাল ছিড়েছে। নন্দিনী কোথায় । ফাগুলাল । সে গেছে সবার আগে । তাকে আর নাগাল পাওয়া যাবে না । অধ্যাপক। এইবারই পাওয়া যাবে। আর এড়িয়ে যেতে পারবে না, তাকে ধরব । [ প্রস্থান বিশুর প্রবেশ বিশু। ফাগুলাল, নন্দিনী কোথায় । ফাগুলাল। তুমি কী করে এলে।