পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 о о রবীন্দ্র-রচনাবলী বিশু । আমাদের কারিগররা বন্দীশালা ভেঙে ফেলেছে। তারা ওই চলেছে লড়তে। আমি নন্দিনীকে খুজতে এলুম। সে কোথায় । ফাগুলাল । সে গেছে সকলের আগে এগিয়ে । বিশু । কোথায় । ফাগুলাল । শেষ মুক্তিতে –বিশু, দেখতে পাচ্ছ ওখানে কে শুয়ে আছে ? বিশু । ও-যে রঞ্জন । 婚 ফাগুলাল। ধুলায় দেখছ ওই রক্তের রেখা ? বিশু । বুঝেছি, ওই তাদের পরমমিলনের রক্তরাখি। এবার আমার সময় এল একলা মহাযাত্রার। হয়তো গান শুনতে চাইবে । আমার পাগলী! আয় রে ভাই, এবার লড়াইয়ে চল। ফাগুলাল । নন্দিনীর জয় । বিশু । নন্দিনীর জয় । ফাগুলাল। আর, ওই দেখো, ধুলায় লুটচ্ছে তার রক্তকরবীর কঙ্কণ। ডানহাত থেকে কখন খসে পড়েছে। তার হাতখানি আজ সে রিক্ত করে দিয়ে চলে গেল । বিশু । তাকে বলেছিলুম, তার হাত থেকে কিছু নেব না। এই নিতে হল, তার শেষ দান । [ প্রস্থান দূরে গান পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয় রে চলে, আশয় আয় আয় । ধুলার আঁচল ভরেছে আজ পাকা ফসলে, মরি হায় হায় হায় ।