পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ፃ ব্যবসায়ে বাঙালী পারিবে । যে ব্যবসায়ে প্রকৃতপক্ষে খরচ কম অথচ লাভ বেশী এবং নিশ্চিত, উপযুক্ত পরিচালকের তত্বাবধানে তাহার উন্নতি না হুইবার কোন কারণ আমি দেখি না। চিনির কল, কাপড়ের কল, তেলের কল, প্রভৃতি যাবতীয় মেসীনারী কারবারে (machineries ) মূলধনের অধিকাংশ টাকা প্রথমেই ব্যয় হইয়া যায়। পরে ব্যবসা চালাইয়া লাভ হইতে থাকিলে ঐ সমস্ত কল-কারখানার ব্যয় পূরণ হইয়া যদি অতিরিক্ত লাভ থাকে, তবেই “শেয়ার-হোল্ডার’গণকে ডিভিডেও দেওয়া চলে। কিন্তু ইতিমধ্যেই আবার কলকজা মেরামত ও পরিবর্তনের ব্যয় দরকার হইয়া পড়ে। এখানে আর একটা জিনিষ লক্ষ্য করিবার আছে। ঐ সমস্ত কারবারের সূত্রপাতেই মূলধনের অর্ধেক টাকা কলকজার মূল্য বাবদে আমেরিকা ও ইউরোপে পাঠাইয়া দিয়া তবে ব্যবসা আরম্ভ করিতে হয় । চার পাচ লক্ষ টাকা মূলধনের ব্যবসায়ে জনকতক কৰ্মচারী ও শ্রমিক প্রতিপালিত হয় মাত্র। কিন্তু পরিকল্পিত এই আড়তদারী ব্যবসায়ের ভিতর দিয়া বৰ্ত্তমান বাংলাদেশের যাহা প্রধান সমস্তা, তাহার অনেকটা সমাধান হইবে । তাহা ছাড়া এমন কয়েকটা শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙালীজাতিকে ব্যবসায়ের প্রতি অনুরাগলীল করিয়া তোলা যাইবে । ইহা হইতে কতকগুলি কম মাহিনার সাধারণ লোক কৰ্ম্মচারী হিসাবে প্রতিপালিত হইবে। কতকগুলি লোক ঐ সমস্ত ব্যপারীর মাল বিক্রয় করিয়া দালালী পাইবে । আর মাল আমদানী-রপ্তানির জন্য পশ্চিম দেশীয় কুলী না লইয়া বাংলা দেশ হইতে ঐ শ্রেণীর কতকগুলি লোক আমদানী করিয়া তাহদের কাজ দেওয়া যাইবে । জলপানী ও লিলাভী মাল এই জাতীয় কোম্পানী যত বেশী হয়, ততই ভাল। কারণ কোন